অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ লক্ষ টাকা জরিমান
ঝালকাঠিতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ লক্ষ টাকা জরিমান


ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠি জেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া সুগন্ধা নদী থেকে অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলনের অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতে পৃথক দুটি মামলায় ২জন বালু ব্যবসায়ীকে যথাক্রমে ৫ লাখ ও ২ লাখ টাকা করে মোট ৭ লক্ষ জরিমান করা হয়।
গত ৬ জুন মঙ্গলবার সুগন্ধা নদী তীরবর্তী নলছিটি উপজেলাধীন মগড় ইউনিয়নের রায়াপুর এলাকায় সুগন্ধা নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলনের অপরাধে পটুয়াখালীর কেশবপুর এলাকার হালিম হাওলাদারের ছেলে নাসির হাওলাদার (৪৭) ও বরিশাল বানারিপাড়ার রাজ্জাকপুর এলাকার মাহাবুব ডাকুয়ার ছেলে রিমন ডাকুয়া (২০) কে আটক করে।
পরে নলছিটির সহকারী কমিশনার (ভূমি) সমাপ্তি রায় ভ্রাম্যমান আদলত পরিচালনা করেন। এ সময় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২ টি পৃথক মামলায় নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সমাপ্তি রায় নাসির হাওলাদার (৪৭) কে ৫লক্ষ টাকা এবং রিমন ডাকুয়া (২০) কে ২ লক্ষ টাকা দুইজনকে মোট ৭ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় নলছিটি থানা পুলিশের ১ টি দল অভিযান পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করেন।
এ বিষয এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদীন ধরে রাতের আধারে সুগন্ধা নদী থেকে নদীর বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন। গতকাল ভোর রাতে সুগন্ধা নদীর তীরবর্তি রায়াপুর সংলগ্ন এলাকায় চরের মাটি কেটে নেওয়ার সময় এলাকাবাসী প্রশাসনকে খবর দিলে তারা এসে তাদেরকে ধরে। এবং পরবর্তীতে ভ্রাম্যমান আদালতে সাাজা প্রদান করে। নদীভাঙ্গন রোধে তারা এই ধরনের অভিযান পরিচালনার জন্য প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষয় নলছিটির সহকারি কমিশনার ভূমি সমাপ্তি রায় বলেন, জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান আমাদের অব্যাহত থাকবে। সবাইকে অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করে বিক্রয় করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ।