জেলার খবর

আপনার দেওয়া সহযোগিতায় বাঁচাতে পারে পিয়ারা খাতুন

আপনার দেওয়া সহযোগিতায় বাঁচাতে পারে পিয়ারা খাতুন

দুই কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া যশোরের শার্শা উপজেলার পিয়ারা খাতুনের অবস্থা গেল এক সপ্তাহের ব্যবধানে আরো অবনতি হয়ে পড়েছে। ফুলে ফেঁপে উঠছে তার গোটা শরীর। গত কয়েক দিন যাবৎ খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন বললেই চলে।

এক ফোটা পানিও পেটে পড়লেই বমি হচ্ছে তার। এ অবস্থায় পিয়ারা খাতুনের কিডনি ডায়ালাইসিস অথবা নতুন কিডনি বসানো না গেলে অচিরেই এই নিষ্ঠুর পৃথিবীর মায়া ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমাতে হবে।

গত ০১/০৪/২০২৩ ইং তারিখে দৈনিক বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা, অনলাইন ও ফেইসবুক পেজে পিয়ারা খাতুনের অবস্থা তুলে ধরলে তাকে সাহায্য সহযোগিতা করতে তেমন কোন সাড়া পড়েনি। নিষ্ঠুর পৃথিবীর নিষ্ঠুর মানুষ গুলো পিয়ারা খাতুন মৃত্যু পথযাত্রী জেনেও একটি টাকা নিয়ে এগিয়ে আসেনি।

সর্বশেষ গত ৯ এপ্রিল সকালে পিয়ারা খাতুনের বর্তমান অবস্থা জানতে তার বাড়িতে গেলে তাকে দেখে দুচোখের পাতা ভিজে যায় তথ্য অনুসন্ধানী টিমের সাংবাদিকদের।

ঘরে ঢুকতেই চোখে পড়ে দুটো নষ্ট কিডনি নিয়ে পিয়ারা খাতুনের নিথর দেহটি পড়ে আছে খাটের উপর । কেমন আছেন জানতে চাইলেই ঠোঁটের কোনে আলতো হাসি দিয়ে ভাল আছি বললেও দুচোখে তার বাঁচার আকুতি যেন স্পষ্ট।

এক বুক চাপা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে পিয়ারা খাতুন কথা বলতে বলতে দেশ ও বিদেশের কোটি কোটি মানুষের কাছে একটি টাকা করে সাহায্য কামনা করে মায়াবী দুচোখ অঝরে কান্নায় ভাষিয়ে ফেলে। পিয়ারার অশ্রুসীক্ত নয়ন আর বুকের মাঝে লুকানো চাপা কান্না সেদিন সকলকে কাঁদিয়ে ছিলো।

অসহায়ের মতো ছোট ছোট করে বললাম সব ঠিক হয়ে যাবে বুবু। যার যার স্থান থেকে আমরা সকলেই তোমাকে একটি টাকা করে অবশ্যই সাহায্য করবো। কিন্তু একটু একটু করে দিন সময় পার হয়ে গেলেও একটি টাকা দিয়ে পিয়ারাকে সাহায্য আমরা কেউ করিনি। ভাবতেই অবাক লাগে আমি কি মানুষ নাকি কোন জড় পদার্থ।

উল্লেখ্য :
যশোরের শার্শায় পিয়ারা খাতুন (৪০) নামে এক গৃহবধূর দুই কিডনি অকেজো হয়ে গেছে। গোটা শরীরে কিডনি জনিত কারণে নানাবিধ সমস্যায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন তিনি। দীর্ঘ ২ বছরেরও বেশি সময় অর্থাভাবে সঠিক কোন চিকিৎসা না হওয়ায় আজ জীবন প্রদীন নিভে যেতে বসেছে তার।

অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে গভীর ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন পিয়ারা খাতুনের পরিবার । এ অবস্থায় সমাজের বিত্তশালী মানুষের কাছে সাহায্য কামনা করেছেন পিয়ারা খাতুনের কাছের মানুষেরা।

যশোরের শার্শা সীমান্তের বসতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গণির মেয়ে পিয়ারা খাতুন। দুটো কিডনিই অকেজো হয়ে পড়াই ইতোমধ্যে দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখায়ও কোন ফল পাননি তিনি। অর্থের অভাবে কোন রকম চিকিৎসা না পেয়ে আজ মৃত্যু পথযাত্রী সে।

দুটো কিডনি অকেজো হয়ে পড়ায় দিনে দিনে হাত পা মুখ সহ গোটা শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে ফেঁপে উঠছে। অসহ যন্ত্রনায় ছটফটানি আর থেমে থেমে কান্নাকাটি সহ ধীরে ধীরে মৃত্যুর প্রহর গুণছেন পিয়ারা খাতুন। পিয়ারা খাতুনের একটি কণ্যা সন্তান রয়েছে।

স্বামী থাকলেও নিজে মৃত্যু পথ যাত্রী ভেবে স্বামীকে স্বইচ্ছায় ছেড়ে দিয়েছেন। যা অর্থকড়ি ছিলো ইতোমধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ায় আজ নিজেকে বড় অসহায় মনে করছেন তিনি। পিয়ারা খাতুন বর্তমানে ঢাকার সিকেডি এন্ড ইউরোলজি হসপিটালে কিডনি বিশেষজ্ঞ ডা: তানভির রহমানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডাক্তার বলেছেন অতিদ্রুত কিডনি ডায়ালাইসিস অথবা নতুন কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। এ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তশালী মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন অসহায় পিয়ারা খাতুন ।

দু’টো নষ্ট কিডনি নিয়ে দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পিয়ারা খাতুন। সকলের একটু সহযোগিতায় বেঁচে যেতে পারে তার জীবন। তাকে বাঁচাতে মানবিক সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে সবাই এমনটাই প্রত্যাশা অসহায় পরিবারের।

আর্থিক সহযোগিতা পাঠাতে এবং পিয়ারা খাতুনের সাথে সার্বিক যোগাযোগ মোবাইল নাম্বার হল-০১৯১১-৫৪৯০৮২ (বিকাশ ব্যক্তিগত)। সঞ্চিয় ব্যাংক হিসাব নং-১৪৩৬৮। সোনালী ব্যাংক, বাগআঁচড়া শাখা, শার্শা, যশোর।

আসুন মায়া ছড়ায়।।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button