আন্তর্জাতিক

ইরানের আটককৃত অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্র দিতে পারে ইউক্রেনকে

ইয়েমেনে ইরানপন্থী যোদ্ধাদের জন্য পাঠানো যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ মার্কিন নৌবাহিনী আটক করেছিল সেগুলো ইউক্রেনে পাঠানো হতে পারে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে এমন নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

বিবিএস আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এ খবর জানিয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, ইউক্রেনে ৫ হাজারের বেশি অ্যাসল্ট রাইফেল, ১৬ লাখ রাউন্ড গুলি, অল্প কিছু ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৭ হাজারের বেশি ফিউজ ইয়েমেনে পাচারের সময় আটক করা হয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, এগুলো ইরানের হয়ে লড়াইরত যোদ্ধাদের কাছে পাঠানো হচ্ছিল। এখন ইউক্রেনে এগুলো পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

প্রায় এক বছর পূর্ণ হতে চলা যুদ্ধে ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও পশ্চিমা দেশগুলো। যুদ্ধ যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে ইউক্রেনের চাহিদা পূরণে তারা তত হিমশিম খাচ্ছে। সম্প্রতি ন্যাটো প্রধান স্বীকার করেছেন, ইউক্রেনকে সহযোগিতা করতে গিয়ে তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদে মজুত কমে যাচ্ছে। দ্রুত উৎপাদন বাড়াতে হবে।

আটককৃত অস্ত্র ইউক্রেনে পাঠানোর বিষয়ে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ইউক্রেনীয় দূতাবাসা ও মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

পেন্টাগনের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে ১০ কোটি রাউন্ড ছোট আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি সরবরাহ করেছে। এছাড়া ১৩ হাজার গ্রেনেড লঞ্চার, বন্দুক ও রাইফেলও দেওয়া হয়েছে কিয়েভকে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসনের সামনে একটি আইনি ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কারণ একটি সংঘাতের অস্ত্র আরেকটি সংঘাতে পাঠাতে হবে। জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির মিত্রদের আটককৃত অস্ত্র ধ্বংস বা মজুত করতে হবে। বাইডেন প্রশাসনের আইনজীবীরা খতিয়ে দেখছেন ইউক্রেনে এসব অস্ত্র পাঠানোর কোনও সুযোগ রয়েছে কিনা।

ইউক্রেনে এসব অস্ত্র পাঠাতে ইচ্ছুক কর্মকর্তারা মনে করছেন, নির্বাহী আদেশ জারির মাধ্যমে আইনি প্রশ্নটির সমাধান করতে পারবেন বাইডেন অথবা কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করে আটককৃত অস্ত্র বেসামরিক কর্তৃপক্ষের আওতায় এনে সেগুলো ইউক্রেনে পাঠানো যেতে পারে।

ইরানের অস্ত্র জব্দের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বাজেয়াপ্ত আইন প্রয়োগের উদাহরণ রয়েছে। ২০২০ সালে অস্ত্র বোঝাই দুটি জাহাজের ক্ষেত্রে মার্কিন আইন মন্ত্রণালয় এই ধারা ব্যবহার করেছিল।

ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর অ্যা নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির মধ্যপ্রাচ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিচালক জনাথন লর্ড বলেছেন, আটককৃত অস্ত্র ইউক্রেনে পাঠানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে সর্বদলীয় সমর্থন রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button