উখিয়ায় ময়না গ্রুপের হামলায় সাংবাদিক আহত


কায়সার হামিদ মানিক,উখিয়াঃ
কক্সবাজারের উখিয়ার মাছ বাজারে ময়না গ্রুপের ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী মাছ বাজারে ডুকে মাছ ব্যবসায়ী সাহাব উদ্দিনকে অতর্কিত ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা, শরীরের উপর্যুপরি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
এসময় টমটম ভাংচুর ও মাছ ব্যবসার ৪৫হাজার ৫ শত ৮০ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়।স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় সাহাব উদ্দিনকে উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাত ৮ টার দিকে উখিয়া মাছ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ময়না পরিকল্পিত ভাবে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মাথায় হেলমেট পড়ে ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মাছ বাজারে গিয়ে মাছ বিক্রি করার সময় অতর্কিত হামলা করে। এতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য,শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সামান্য তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাহাব উদ্দিনকে সন্ত্রাসী ময়না তার দলবল নিয়ে অর্তকিত হামলা চালায়।প্রতিবাদ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীরা ধারালো ছুরি ও লোহার রড নিয়ে দাওয়া করে হামলা চালালে এতে সাংবাদিক কায়সার হামিদ মানিকসহ ৩/৪ জন গুরুত্বর আহত হয়।
এসময় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় ফোন দিয়ে সহযোগিতা চাইলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশ দু,পক্ষকে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষ না জড়াতে নির্দেশ দেন।
এঘটনায় ঐদিন রাতে ময়নাকে প্রধান আসামী ও অজ্ঞাত ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন দৈনিক সময়ের আলো, দৈনিক পূর্বকোণ ও দৈনিক আজকের কক্সবাজার পত্রিকার উখিয়া প্রতিনিধি কায়সার হামিদ মানিক।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী কয়েকজন জানান, তার রয়েছে ২০/২৫ জনের একটি বাহিনী,রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থেকে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে মাদক ব্যবসা,মাদক সেবন,ছিনতাই,ভাড়াতে কিলার,অপহরণ, চাঁদাবাজি, জায়গা দখলসহ কথায় কথায় বৃদ্ধ থেকে শুরু করে যে কাউকে মারধর করার অহরহ ঘটনার অভিযোগ রয়েছে।
এবিষয়ে সাংবাদিক কায়সার হামিদ মানিক জানান,আমার চাচাতো ভাই কাঁচা বাজারে মাছ বিক্রি কালে রিদুয়ানুল হক ময়নাও তার বাহিনীরা মিলে পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম করে। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এদিকে রাত ১ টায় সাহাব উদ্দিনের বড় ভাই জয়নাল আবেদীন ফোনে জানান,সাহাব উদ্দিনের অবস্থা ভালো নই। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার জানিয়েছেন তার মাথায় মগজ দেখা যাচ্ছে এবং রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে তাই আমরা রিক্স নিতে পারবো না আপনারা চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যান।
উল্লেখ্য ২০ অক্টোবর ২০২২ তারিখ ভোর অনুমান ৫ ঘটিকা হইতে সকাল অনুমান ৮ ঘটিকার সময় রিদুয়ানুল হক ময়না অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের বাহিনী নিয়ে উখিয়া সদর দারোগা বাজারস্থ দূর্গামন্দির গেইট সংলগ্ন মন্দিরের অফিস কক্ষের টিনের বেড়া কাটিয়ে অফিসে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র, গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরি করে জবর দখলের উদ্দেশ্যে অফিস কক্ষে কাঁচা তরকারীর মালামাল ডুকিয়ে রাখে। মৃদুল আইচ জানান, ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সদস্যদের নিয়ে সকাল অনুমান ১০ ঘটিকার সময় মন্দিরের অফিস কক্ষে গিয়ে উত্তরূপ ঘটনা দেখতে পাই, সন্ত্রাসীগণকে বাঁধা ও নিষেধ করি। এতে বিবাদী ক্ষিপ্ত হইয়া হাতে থাকা লোহার রড সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়া আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে দৌড়াইয়া নিয়া আসলে আমরা দৌড়াইয়া নিরাপদ দূরত্বে সরে গিয়ে কোন রকম প্রাণে রক্ষা পাই।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সম্প্রদায়ের সমাজকে যেখানে পাইবে খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে বলিয়া প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে আমি সহ অন্যানরা ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করায় উক্ত সন্ত্রাসীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়া ২০/১০/২০১২ইং তারিখ সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উখিয়া সদর ষ্টেশনস্থ আমার মালিকানাধীন আইচ ডিপামেন্টাল স্টোর নামক দোকানে আসে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দোকান হইতে বাহির হইতে বলে মারধর করার জন্য উদ্যত হইলে আমার দোকানের কর্মচারী ও অপরাপর পাশের দোকানদারগন এগিয়ে আসলে তাদের সহায়তায় আমি প্রাণে রক্ষা পাই।
এ বিষয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবসা গ্রহণের জন্য উখিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বলে তিনি জানান।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান,দু,পক্ষের মারামারির ঘটনায় ২ টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাতে আবারও মাছ ব্যবসায়ীকে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে শুনেছি প্রতিপক্ষরা অভিযোগ পেলে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।