এমন একটা মানুষ চাই


জেমস আব্দুর রহিম রানা
আমি এমন একজন মানুষকে চাই যে আমাকে বুঝতে পারবে। আমি বলছি না তার আমাকে পুরোপুরি বুঝে ফেলতে হবে তবে আমি চাই সে অন্তত আমার ঠান্ডা লাগা কন্ঠ আর কান্না করা কন্ঠের পার্থক্যটা বুঝতে পারুক। আমি চাই সে অন্তত আমার কষ্ট লুকানো মিথ্যে হাসি আর আমার সত্যিকারের হাসির পার্থক্যটা বুঝতে পারুক।
আমি চাই এমন একটা মানুষকে যে আমাকে সম্মান দিতে জানবে। যে আমার ভুলগুলো দেখে আমাকে সবার সামনে লজ্জা না দিয়ে বরং একটু আড়ালে এনে বলবে তুমি এই কাজটা ভুল করেছো। এই ভুলটা আর করো না কেমন।
আমি চাই একটা অধিকার দেখানোর মতো মানুষ।যাকে আমি প্রচন্ড অধিকার নিয়ে বলতে পারবো তুমি আমার নিজের মানুষ । তুমি আমার একান্ত ব্যক্তিগত, তুমি আমার নির্লজ্জ বেহায়াপনার মানুষ, তুমি আমার সম্পওি নও তুমি আমার সম্পদ।
আমি চাই একটা ভরসা করতে পারার মতো মানুষ। যে মানুষটার উপর আমি জীবনের যে কোন অবস্হায় ভরসা করতে পারব। যে আমার খারাপ সময়টাতে ও আমাকে ছেড়ে যাবে না। পাশে এসে আমাকে ভরসা দিয়ে বলবে ‘কিছু হবে না, আমি আছি তো! ‘
আমি চাই একটা নির্ভরতার কাঁধ। যে কাঁধে মাথা রেখে আমি নির্দিধায় সব কিছু বলতে পারবো। সব কিছু, আমার মন খারাপের গল্প কিংবা আমার সুখের গল্প সব কিছুই আমি সেই মানুষটার কাছে বলতে পারবো। আর সেই মানুষটা খুব আগ্রহ নিয়ে আমার সবকিছু মনযোগ দিয়ে শুনবে।
আমি চাই এমন একটা মানুষকে যার কাছে হাজার ব্যস্ততার মাঝেও আমার জন্য একটু হলেও সময় থাকবে। যে আমাকে কখনো ব্যস্ততার অজুহাত দেখাবে না বরং পুরো পৃথিবীকে ব্যস্ততা দেখিয়ে আমাকে একটু সময় দিবে।
আমি চাই এমন একটা মানুষকে যে আমার মুখের এক টুকরো হাসির কারণ হবে। যে আমার হাসির মাঝে লুকিয়ে থাকা বিষাদটাকে অনুভব করতে পারবে।
আমি চাই এমন একটা মানুষকে যে আমার প্রতি যত্নবান এবং দায়িত্বশীল হবে। আমি চাই একটা বিশ্বাসী হাত। যে হাতের উপর হাত রেখে আমি বিশ্বাসের সাথে সারাজিবন কাটিয়ে দিতে পারবো অনায়েসে। যে আমার রাগ, অভিমান, অভিযোগ মানিয়ে আমার সাথে শেষ পর্যন্ত থেকে যাবে, সে থেকে যাওয়া মানুষটাকে আমি সারাজীবনের জন্য আমার করে চাই।
☆ জেমস আব্দুর রহিম রানা
কবি ও গণমাধ্যমকর্মী, যশোর।