কচ্ছপিয়ায় আদালতের নির্দেশে কবর থেকে নবজাতকের লাশ উত্তোলন
কক্সবাজারের রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে আদালতের নির্দেশে, দাফনের ৩ মাসের মাতায় কবর থেকে এক নবজাতকের লাশ (নমুনা) উত্তোলন করা হয়েছে। রবিবার(৫মার্চ) সকাল ১০ টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ এর নেতৃত্বে পুলিশের উপস্থিতিতে, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মৌলভীর কাটা বাইতুল মামুর জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থান থেকে এই নবজাতকের লাশ উত্তোলন করা হয়।


মোহাম্মদ ইউনুছ, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি: স্থানীয় সূত্রে জানা যায় একই এলাকার মৃত ফরুক আহমদের পুত্র নুর মোহাম্মদের স্ত্রী আমেনা বেগমের গর্ভে ৬ মাসের সন্তান গর্ভপাত হয় বলে জানা যায়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ এই প্রতিবেদকে জানান,মামলার অগ্রগতির জন্য কবর থেকে এই নবজাতকের লাশ উত্তোলন করা প্রয়োজন বিধায় আমরা আদালতের নির্দেশে এই লাশ কবর থেকে উত্তোলন করেছি। ময়নাতদন্তের পর পুনরায় লাশ দাফন করা হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোজাম্মেল হক জানান নবজাতকের পিতার করা আদালতে মামলা দায়ের পর হইতে তদন্ত চলমান রয়েছে।
আজ সর্বশেষ লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর পর বিস্তারিত জানা যাবে।
লাশ উত্তোলনকালে, রামুর গর্জনিয়া পুলিশ ফাড়িঁর এসআই মোজাম্মেল, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ ইউনুছ, স্থানীয় বায়তুল মামুর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল হালিমসহ অনকে উপস্থিত ছিলেন।
সুত্রে জানা যায়,দীর্ঘ ৬-৭ বছর ধরে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আপন ভাই নুর মোহাম্মদ এর সাথে বোন দিলমছ খাতুনের মধ্যে মামলা মকদ্দমা চলে আসছিল। এই নিয়ে বিগত ১৬ ডিসেম্বর দুই পক্ষের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটে।
বাদী নুর মোহাম্মদ জানান তার বোনের মেয়ের জামাই কামাল উদ্দিন ও বোন মিলে আমার স্ত্রী আমেনা বেগমের পেটে লাথি মেরে এতে স্ত্রীর গর্ভে থাকা ৬ মাসের সন্তান মৃত প্রসব হয়। এই ঘটনায় গত ২৭ ডিসেম্বর আমি বাদী হয়ে আদালতে নুরুজ্জামানের পুত্র কামাল উদ্দীন ও বোনসহ ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করি।
ওই মাসের ২৯ ডিসেম্বর উক্ত মামলাটি রামু থানায় এন্ট্রি করা হয় যার নং ৩৭/ ২২ ওই মামলা তদন্তের অগ্রগতির জন্য এই নবজাতকের লাশ উত্তোলন করে পুলিশ।
বিবাদী বোন দিলমছ খাতুন ও দিল ফুরোজ বেগম জানান, ওই নবজাতকের জন্ম হয় ১২ ডিসেম্বর আর আমাদের সাথে মারামারি ঘটনা হয় ১৬ ডিসেম্বর। (বাদী স্থানীয় মেম্বার ইউনুস এর পরামর্শে আমাদেরকে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বসত বিটা থেকে উচ্ছেদ করতে এই সাজানো মামলা দায়ের করেন।
আমরা আদালতের কাছে এই মামলার সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি।