খুরুশকুলের চেয়ারম্যান শাহজাহান ছিদ্দিকীর প্রভাব দেখিয়ে প্যারাবন কেটে বাঁকখালী নদীর জমি দখল


বিশেষ প্রতিবেদক:
বছরের পর বছর বাঁকখালী নদী দখলের মহোৎসব চলছে। কোনভাবেই থামানো যাচ্ছে না দখলবাজদের। বরং দিন দিন বাড়ছে তাঁদের দৌরাত্ম্য। এবার শহরের উত্তর টেকপাড়া আবু বক্কর ছিদ্দিক (রাঃ) মসজিদ সংলগ্ন বাঁকখালী নদীর বুক চিরে জেগে ওঠা প্যারাবন কেটে নদীর জমি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঁকখালী নদীর প্রায় ১০ গন্ডা জমি দখলে ঘেরা বেড়া দেওয়া হয়েছে। নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ভরাট করা হচ্ছে জমি। এতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় প্যারাবন। কিন্তু দখলবাজ চক্র নির্বিচারে কেটে ফেলছে প্যারাবন। ইতোমধ্যে জমি ভরাট করে প্লট আকারে বিক্রি শুরু করেছে তাঁরা। আলমগীর ও শাহ আলম নামে দুই সহোদর নদীর জমি দখল করে প্লট আকারে বিক্রি করছে। তাঁরা দুজনেই খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ছিদ্দিকীর আপন ভাই। চেয়ারম্যান ভাইয়ের প্রভাব দেখিয়ে চলছে রমরমা এই বাণিজ্য।
নদী রক্ষায় এলাকাবাসী বাঁধা দিয়েও কোন সুরাহা মিলেনি। উল্টো এলাকার মানুষকে হত্যাসহ নানা হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে। এতে নিরূপায় হয়ে বাঁকখালী রক্ষায় ওই দখলবাজদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানান, খুরুশকুলের চেয়ারম্যান শাহজাহান ছিদ্দিকীর ভাই আলমগীর ও শাহ আলম প্যারাবন কেটে জমি বিক্রি করছে। দখল দিলেও কাউকে রেজিষ্ট্রি দিতে পারছে না তাঁরা।
তবে অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করেন আলমগী ও শাহ আলম। তারা বলেন, বিএনপি নেতা আব্দুর রহিম এখন নদী ভরাট করে জায়গা বিক্রি করছেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়েছে। উপড়ে ফেলা হয়েছে কিছু স্থাপনা। প্যারাবন নিধন ও নদীর জায়গা বিক্রিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।