বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনামঃ
ঝিকরগাছায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু  স্বামীর টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে স্ত্রী পলিয়ে তালাক খাগড়াছড়িতে জামায়াত নেতার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন,নাগরিক কমিটি ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় বটিয়াঘাটায় সাসটেইনেবল কোস্টাল মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত মানবাধিকার কর্মি পরিচয় পত্র বাণিজ্যের প্রমান মিলেছে খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম-নারী হেডম্যান কার্বারী সম্মেলন সংসদে কোরআনের আলো জ্বালাতে হবে – ঝালকাঠিতে নায়েবে আমীর যশোরে সাংবাদিক নেতা মন্টুর স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত শার্শায় শালিস কে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের বোমাবাজি,সংঘর্ষ আহত ৫

খুলনায় গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সঙ্গে সাংবাদ কর্মীদের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

Reporter Name / ৩৮ Time View
Update Time : বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন
Oplus_131072

মহিদুল ইসলাম (শাহীন) খুলনা থেকেঃ
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভা (মঙ্গলবার) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ।

সভায় প্রধান অতিথি বলেন, গণমাধ্যমগুলো যাতে যথাযথভাবে তার ভূমিকা পালনে সক্ষম হয় তার উপযোগী নীতিমালা প্রণয়নে কমিশন সুপারিশ করবে। আইন-কানুন ও নিয়ম-নীতি সঠিকভাবে অনুসরণ করে সাংবাদিকতার প্রতিযোগিতায় যারা টিকে থাকবে তারাই গ্রহণযোগ্য হবে। সুস্থ প্রতিযোগিতা না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাভাবিক বিকাশ হবেনা। দেশে ব্যক্তি-ব্যবসায়িক স্বার্থে বা রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর জন্য সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহারের প্রবণতা প্রবল।

দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য ন্যূনতম একটি বেতনের নিশ্চয়তা থাকা দরকার। সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা যদি না থাকে, তাহলে তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার মানসিকতা থাকবে না। ওয়েজবোর্ডের যে সুযোগ-সুবিধা তা ঢাকার বাইরের সাংবাদিকরা কার্যত প্রায় পান না। যারা পান তারা সৌভাগ্যবান।

তিনি আরও বলেন, সংবাদপত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে আইন ও নীতিমালায় সম্পাদকের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতার বিষয়গুলোসহ অনেক ইতিবাচক বিষয়বস্তু রয়েছে। তবে যারা অতীতে সরকার পরিচালনা করেছেন তারা নিজেরাই নীতিমালা অনুসরণ করেননি। যে কারণে এই সমস্যাগুলো হয়েছে। তারা তোষনকারীদের খুশি করার জন্য অনেক ক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে পত্রিকার সার্কুলেশনের সংখ্যা বিষয়ক ডিএফপির মিডিয়া তালিকা তৈরিতে প্রভাব বিস্তার করা হয়েছে। গণমাধ্যমের মালিক, সম্পাদক, গণমাধ্যমকর্মী আমরা সবাই দুর্নীতি ও নিয়মভাঙ্গার অন্যায়ের অংশীদার। সেই কারণেই আজকে এরকম একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। টেলিভিশন-সংবাদপত্র মিডিয়ায় যাকে মফস্বলে রিপোর্টার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়, তাকেই আবার বিজ্ঞাপন সংগ্রহের দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে অন্যায়ভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এর ফলে যারা চাকুরিচ্যুত হয়ে বেকারত্বের শিকার হয়েছিলেন তারা ক্ষতিপূরণের দাবীদার হওয়ার যোগ্য। একইসাথে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা জানান, গণমাধ্যমগুলোয় কর্মরত রাজধানীকেন্দ্রিক সাংবাদিক ও মফস্বল এলাকার সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে বিস্তর ব্যবধান রয়েছে। সবার জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ দরকার। দলীয় প্রভাব বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গণমাধ্যম অথবা এর কর্মীদের ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য আখতার হোসেন খান, জিমি আমির, টিটু দত্ত গুপ্ত, আব্দুল্লাহ আল মামুন, বেগম কামরুন্নেসা হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার প্রায় ১৫০জন গণমাধ্যমকর্মী অংশ নেন।

Spread the love


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *