ঘূণির্ঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে বাঁশখালীর উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত


মোহাম্মদ এরশাদ বাঁশখালী প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বেড়ীবাঁধের বাহিরে বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত। হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দি। এখন পর্যন্ত উপকূল এলাকায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত বহাল রয়েছে। সকাল থেকে ক্রমশ ঝড়বৃষ্টির তীব্রতা বাড়ছে।বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। মোবাইল রিচার্জ না করতে পারার কারনে সকল যোগাযোগ প্রায় বন্ধ । নেট ওয়ার্ক সমস্যা। উপজেলার উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল সহ সারা জেলায় টানাবৃষ্টি ও তীব্র বাতাস হচ্ছে।চনুয়া,গন্ডামারা,পুঁইছড়ি, শেখেরখীল, কাথারিয়া, খানখানাবাদ,বাহারছড়া,পুকুরিয়াসহ অনেক চর এখন পর্যন্ত প্লাবিত হচ্ছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই চর গুলোতে অনেক মানুষ পানি বন্দি আছেন।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন,উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এমনকি উপকূলীয় এলাকা ও আশ্রয়কেন্দ্র সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১০৫টি আশ্রয়কেন্দ্র(মুজিব কিল্লা ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র) প্রস্তুত আছে। সিপিপির ১৪২০ জন স্বেচ্ছাসেবক উপকূলীয় ইউনিয়নে প্রচার প্রচারণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ইউনিয়ন ভিত্তিক ১৫টি ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি সহ সর্বমোট ২০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও
ঘূর্ণিঝড়ে বেরিবাঁধ ও চরাঞ্চলের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে কাজ করছে রেড ক্রিসেন্ট ও সিপিপিসহ বিভিন্ন সংগঠন।