ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং তাণ্ডবে উপকূলীয় ঝাউবাগান লণ্ডভণ্ড


মোহাম্মদ এরশাদ বাঁশখালী প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর তাণ্ডবে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপকূলের বঙ্গোপসাগরের আগ্রাসন রোধ করণ ও প্রকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরা সমুদ্র সৈকত তীরবর্তী বনায়নের ঝাউবাগান ও ম্যান গ্রুপ বাগান লণ্ডভণ্ড।এতে অন্তত ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে উপকূলীয়(চুনতি)বন রেঞ্জ সুত্রে জানা গেছে।
সরেজমিনে পরিদর্শন কালে উপজেলার সর্বপশ্চিমে বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী উপকূলে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং তান্ডবে ঝাউ বাগান ও ম্যান গ্রুপ বাগান লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া দৃশ্য দেখা গেছে।
বাঁশখালী উপকূলীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা শফিকুল আমিন পাটওয়ারী জানান,বঙ্গোপসাগারের আগ্রাসন রোধ কল্পে ও প্রকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যে বাঁশখালীর সমুদ্র উপকূলে সরকারি এই বনায়ন।এই বনায়ন একদিক দিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ফুটে ওঠে অপরদিকে সমুদ্রে সৃষ্ট বিভিন্ন জলোচ্ছ্বাসের আগ্রাসন রোধ করতে উপকূলীয় অঞ্চলের বড় ধরনের সহায়ক হয়।
গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের ৪০ হেক্টর ম্যানগ্রুপ বাগানের অ , বনায়নে প্রায় অর্ধেক গাছ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং গত ২০২০-২১ অর্থ বছরের ১০ হেক্টর ঝাউ বাগান এটা পুরোটাই তচনচ হয়ে,এছাড়াও ২০২০-২১ অর্থ বছরে গণ্ডামারা বিটে ৫০ হেক্টর, রত্নপুর বিটে ৫০ হেক্টর,প্রেমাশিয়া বিটে ১০ হেক্টর ঝাউ বাগান সেটাতে হয়তো ৩০-৪০% চারা আছে বাকী প্রায় ৫০-৬০% চারার মধ্যে বেশির ভাগই ভেঙ্গে গেছে,আর কিছু চারা উপড়ে পড়ে গেছে,শিকড় ছিড়ে গেলে চারা গুলো বাঁচানো সম্ভব হয়না এগুলো মরে যায়।তাছাড়াও ২০২০-২১ অর্থ বছরের ৮০ হেক্টরের আরো একটি বাগান করা হয়েছিল সেটিও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং বাহারচড়া বনায়নের “ঝাউ চারা”গুলোর অধিকাংশ চারা ভেঙ্গে গেছে আর অবশিষ্ট চারা গুলোও কিন্তু জলোচ্ছ্বাসের আগ্রাসনে উপড়ে ফেলেছে,এতে ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানান কর্মকর্তা শফিকুল আমিন।