চট্টগ্রাম

চরম দূর্ভোগে রামু নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কের ২ লাখ যাত্রী,পার্বত্য মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

মোহাম্মদ ইউনুছ নাইক্ষ্যংছড়িঃ
দেশের পূর্ব সীমান্তের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক। এটি দেখবাল করেন,সড়ক বিভাগ। সড়কটির বর্তমানে চওড়া মাত্র ১০ ফুট কিছু অংশে ১১ ফুট । মিয়ানমার সীমান্তে পাহারারত বিজিবির হাজারো সদস্যের
খাদ্য,অস্ত্র,গোলা-বারুদ সহ অভ্যন্তরীণ সড়ক উন্নয়নে ব্যবহৃত গাড়ির চওড়া সাড়ে ৮ ফুট। কার্ভানব্যানের প্রস্থ সাড়ে ৮ ফুট। দূরপাল্র়ার মালবাহি গাড়ির চওড়াও সাড়ে ৮ ফুট। আর নাইক্ষ্যংছড়ি-বান্দরবান সড়কে চলাচলকারী পূর্বানী বাস এ সড়কে চলাচল করলে আর কোন অংশই থাকে না সড়কের পাকা অংশে । সড়কে এভাবে গাড়ি চলাচল করে । এমন কি মানুষও হাটতে পারে না । এমতাবস্থায় বিপরীত দিক থেকে ট্রাক,মালামাল ও যাত্রীবাহি গাড়ি গুলোর কী অবস্থা হয় বলা মুশকিল বলে মন্তব্য করেন গাড়ি চালক ও অভিজ্ঞজনরা।
ট্রাক চালক নুরুল হাকিম, নুরুল ইসলাম বলেন,এ সড়কের দুপাশের এবং পূর্বাংশের রয়েছে পাহাড় আর বিস্তৃর্ণ বনাঞ্চল। পাহাড়ের মাঝখানের সমতল ভূমির ধান ও খাদ্যের ক্ষেত-খামার আর নানা প্রজাতির ফলের বাগান। এ গুলো পরিবহনে লাগে ট্রাক বা মালবাহি গাড়ি। এ গাড়ি যাতায়াত করে এ সড়কে।
পক্ষান্তরে সড়কের কতৃপক্ষ সড়ক বিভাগ সাইনবোর্ড টাংগিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন ৫ টনের অধিক ভারী কোন যানবাহন এ সড়কে চলতে পারবে না। যা এখন কেউ মানছে না। এখন চলে ২০ টনের অধিক পণ্যবাহী ভারী যান বাহন। উপান্তর না থাকায় এমন অবস্থা তাদের । যা পরিস্থিতির শিকার বলে দাবীও করেন ব্যবসায়ীরা।

এখন গাড়ি চালক আর সাধারণ মানূষ কী করবে? তাদের তো ব্যবসা করতে হবে। তবে মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ করে
সড়কের জারুলিয়াছড়ি ছড়ার বেইলী ব্রীজটির পাটাতনে নষ্ট হয়ে চরম ঝুঁকিতে পড়ায় ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা। তিনি তৎক্ষনাৎ নির্দেশ দেন এ ব্রীজ দিয়ে ৫ টনের অধিক কোন যানবাহন চলাচল না করেন।
এরই মধ্যে পরদিন বুধবার ( ৭ ডিসেম্বর)
সড়ক বিভাগ তড়িগড়ি করে বিকল্প সড়ক না করে সংস্কার কাজ শুরু করেন। যাতে জনদূর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রী।বিশেষ করে ককসবাজারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভা ফেরৎ আসা লোকজন বেশী এ দূর্ভোগে পড়েন। এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন ও সাবেক প্রধান শিক্ষক মংশৈ প্রু মার্মা বলেন,সড়কটি দূরত্ব মাত্র ১০ কিলোমিটার। স্বাধীনতার ৫১ বছর পার হলো এখনও সে তিমিতে। চওড়া অতি ছোট হওয়ায় গাড়ি চলাচলে নানা জটিলতা দীর্ঘ দিনের। বিশেষ করে দূর্ঘটনা এ সড়কের নিত্য সংগী। কারণ সড়কের পূর্বাংশে ৬ টি ইউনিয়নের আড়াই লাখ মানুষ ছাড়াও রাবার ও চা বাগান সহ বাগানের লোকজন রয়েছে হাজার হাজার।
আর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ও মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীদের ব্যটালিয়ন জোনও। বিশেষ করে এ সড়কের জারুলিয়াছড়ি ব্রীজ সহ ৫ টি বেইলী ব্রীজের পাটাতন উঠে যাচ্ছে ১/২ দিন পরপর। যাতে চলাচলে বিগ্ন ঘটে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসন ৫ টনের অধিক কোন গাড়ি যেন চলাচল না করে কঠোরভাবে নিষেধ দিয়েছেন মঙ্গলবার বিকেলে। এভাবে নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ও রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন ছাড়াও দোছড়ি,গর্জনিয়া,বাইশারী ও সোনাইছড়ির চেয়ারম্যানরা একই দাবী তুলেন।
তারা চরম দূর্ভোগের এ সড়কের বিষয়ে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এম পি ও সাইমুম সরওয়ার কমল এমপির হস্তক্ষেপ কামনা কামনা করেন।
কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু মোঃ ইসমাঈল নোমান বলেন,
সড়কের দুপাশ ও পুর্বাংশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩ শতাধিক। এতে শিক্ষক শিক্ষার্থী আছে ৩০ হাজারাধিক।
বিশেষ করে ককসবাজার জেলা খাদ্য-শস্য ভান্ডার খ্যাত কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া ইউনিয়ন সহ সীমান্তের ৬ ইউনিয়নের উৎপাদিত পণ্য বেচাকেনার হাট গর্জনিয়া বাজারের পণ্য আমদানী-রপ্তানীতে রামু নাইক্ষ্যংছড়ি-গর্জনিয়া বাজার সড়কটির সম্প্রসারণ খুবই দরকার। সব স্থরের গাড়ি ও যাত্রি সাধারণের কষ্টের সীমা নেই বলে নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত সকলে। নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবি অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন,এ সড়কে মিয়ানমার সীমান্তে দায়িত্বরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)র ব্যাটালিয়ন সদর ও বিওপি সহ অনেক অফিস বা স্থাপনা রয়েছে। জরুরী মূহুর্তে এ সীমান্তে যাতায়াতে রামু- নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কই একমাত্র ভরসা। কিন্তু সড়কটির চওড়া এতো ছোট যে দুটি গাড়ি পরস্পরকে সাইড দিতেও অনেক সময় লাগে। রিক্স নিয়ে সব যানবাহন চলাচল করছে এ সড়কে। এখন সীমান্ত নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তার জন্যে এ সড়কের সম্প্রসারণ প্রয়োজন আছে।এ বিষযে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেযারম্যান ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা অওযামীগ সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ প্রতিবেদক কে বলেন পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষযক মন্ত্রী বীরবাহাদুরের সহযোগীতায় রাস্তা টি দ্রুত সংস্কার করাহবে।
এদিকে এ এলাকার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের দাবী, রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কটির অবস্থা নাজুক । তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চান সীমান্তের জরুরী মূহুর্তে ব্যবহারের এক মাত্র সড়কটির সম্প্রসারণের কাজ শুরু করতে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button