চুনারুঘাটে ১৪৪ ধারা নির্দেশনা ভঙ্গ করে জমি দখল


মীর জুবাইর আলমঃ
চুনারুঘাট উপজেলা ৫নং শানখলা ইউনিয়নের
গোঁড়ামি গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুল্লা মিয়া। উল্লেখিত খতিয়ানের ভূমি ক্রয় করে দখল করিয়া পুকুরের কিছু অংশে ভরাট করে দোকান নির্মাণ করেন আব্দুল্লাহ মিয়া। আব্দুল্লাহ মিয়া ১৪৪ ধারা অভিযোগ উল্লেখ্য করেন যে একদল দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির লোক এবং পর সম্পদ লোভে মরিয়া উঠে, আব্দুল্লাহ মিয়ার ক্রয়কৃত জমি জোড় জবরদস্তি করে দখল করার চেষ্টা করে একই ইউনিয়নের
সাদেক পুর গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে মিজান মিয়া,পাইকুড়া গ্রামের হামদু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া,ফান্দাইল গ্রামে ম়ৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে আব্দুর রহিম মিয়া (৬০),আব্দুর রহিমের ছেলে আব্দুল কাইয়ুম , হুড়ারকুল গ্রামের মৃত খুরশীদ আলীর ছেলে, ফারুক মিয়া,ফারুক মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া,পাইকুড়া গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে মোঃ সফিক মিয়া। তারা আদালতের নির্দেশনা ১৪৪ দ্ধারা ভঙ্গ করে জোরজবরদস্তি করে অসহায় আব্দুল্লাহ মিয়ার জমি দখল করে।
আব্দুল্লাহ মিয়া জানান আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমি আইন কে সম্মান করি। কিন্তূ তারা আমার জমি দখল করে তারা টিনের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে, তখন আমি বাঁধা দিলে আমি নিরিহ তাকায় তারা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।যার ফলে আমি আদালতের সরনাপন্ন হই এবং চুনারুঘাট থানা পুলিশের কাছে আদালতের নির্দেশনা দেখালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের কে কাজে বাঁধা প্রদান করেন, কিন্তু পুলিশের সেই বাঁধা আর আদালতের নির্দেশনা কে বৃদ্ধাঙ্গু দেখিয়ে রাতের আধারে ঘর তুলে দখল করার চেষ্টা করছে।
চুনারুঘাট থানা ওসি তদন্ত মোস্তফা কামাল বলেন এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায় করা হলে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।
শানখলা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপির সদস্য ইকবাল মিয়া জানান উল্লেখিত জমি আব্দুল্লাহ মিয়া ক্রয় করেছেন তা সঠিক।আব্দুলা মিয়া যাদের নিকট থেকে জমি ক্রয় করেছে, পূর্বের মালিকগন একই জমি বিদ্যালয়ের এবং মসজিদের নামে দলিল করে দিয়েছেন।যার ফলে জমি সংকটে দেখা দিয়েছে বিদ্যালয় দাবি করছে এটি বিদ্যালয়ের জমি মসজিদ কমিটি দাবি করছে এটি মসজিদের জমি। বিষয়টি গত ৫/৬/২০১৮ সালে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মইনউদ্দিন ইকবাল পর্যালোচনা করে নির্দেশনা দেন যে উল্লেখিত পুকুরে বিদ্যালয়ের কোন জমি নেই। তার পরে ও বিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ তাদের লাটিয়াল বাহিনী দিয়ে আব্দুল্লাহ জমি দখল করার চেষ্টা করেন। উল্লেখিত জমি ৫ নং শানখলা ইউনিয়নের শাকির মুহাম্মদ বাজারে পাইকুড়া মৌজার জেএলআর নং ৩৭,এসএ ৬৩,আর এস ১৭৮ নং খতিয়ানে এস এ ১৬ আর এস ৬০ দাগের ৩৪ শতক মধ্যে ০২.৫০ শতক যাহা ক্রমিক নং (১) উত্তরে রাস্তা, দক্ষিণে হাইস্কুল , পূর্বে রাস্তা, পশ্চিমে মসজিদ ও হাইস্কুল। ইহাতে আর এস এ ১৬ আর এস ৬০ দাগে ২.৫০ শতক।ক্রমিক নং (২ )উত্তরে গ্রহীতা গনের নিজ,দক্ষিণে গ্রহীতাগনের নিজ,পূর্বে মিজান ,পশ্চিমে মসজিদ ও স্কুল ইহাতে এস এ ১৬,আর এস ৬০ ৩ শতক। ক্রমিক নং (৩)উত্তরে গ্রহীতা নিজ,দক্ষিণে গ্রহীতা নিজ,পূর্বে দাতার নিজ পশ্চিমে দাতার নিজ হইতে এস এ ১৬,আর এস ৬০ দাগের ১.৫০ শতক। (৪)নং ক্রমিক নং উত্তরে গ্রহীতা নিজ,দক্ষিণে উচ্চ বিদ্যালয় পূর্বে জামাল মিয়া ও জয়নাল মিয়া গং পশ্চিমে বিদ্যালয়। ইহাতে এস এ ১৬,আর এস ৬০ দাগের ০০.৫০ অর্ধ শতক। সকলের তফশীল সঠিক থাকার পরে ও
আব্দুল্লাহ মিয়ার জমি দখল করেন তার পাশের লোকজন।