সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন
হুমায়ন কবির মিরাজ: আবু রায়হান রাজ। পেশায় বিক্রয় প্রতিনিধি। তবে পেশাগত পরিচয় ছাপিয়ে ধারাভাষ্যকার হিসেবেই তাকে মানুষ বেশি চেনে। কথার ছন্দে মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা আদায় করার কৌশলে তার জুড়ি মেলা দায়। তবে মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসার পাশাপাশি পেয়েছেন ঘর পুরা পুরষ্কার। তার বড়-ছোট পুরষ্কারের সংখ্যা ৭১৫ টি।
আবু রায়হান রাজের জন্ম সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তুয়ারডাঙ্গা গ্রামে। পিতা মরহুম গাজী রউচ উদ্দিন। মাতা জরিনা খাতুন। তারা পাঁচ ভাই ও তিন বোন। আবু রায়হান রাজ ১৯৮৮ সালে তুয়ারডাঙ্গা এইচ এফ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় কৃ তিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন।
এরপর ১৯৯০ সালে আশাশুনি সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরে ঢাকায় হোমিওপ্যাথিকে ডিএইচএমএস কোর্স করে প্রাকটিস শুরু করেন। তারপর বেশকিছু দিন তুয়ারডাঙ্গা পোস্ট অফিসের মাস্টার পদে দায়িত্ব পালন করেন। পরে বিভিন্ন কোম্পানিতে পণ্য বাজারজাতে চাকরি করেন। সেখানেও দক্ষতার অসংখ্য পুরষ্কার ওঠে তার ঝুলিতে। ২০১০ সালে তিনি কিছু পণ্যের ডিলার নিয়ে নিজে মার্কেটে পণ্য বিক্রি শুরু করেন।
২০১২ সালে রাজ একটি ফুটবল টুর্নামেন্টে ধারাভাষ্য দেয়ার মাধ্যমে শুরু হয় তার ধারাভাষ্যকার পাওয়ার পরিচিতি। নতুন নামে পরিচিতি পান তিনি। কেউ বলেন কিং রাজ, কেউ বলেন ধারাভাষ্যকার রাজ।https://bbsnews24.com
যে যাই বলুক তার সেই বিক্রয় প্রতিনিধির পরিচয় ছাপিয়ে ধারাভাষ্যকার হিসেবে শুধু যশোর-সাতক্ষীরা নয় আশেপাশের এলাকায় তার রয়েছে পরিচিতি। ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, হাডুডুসহ সব ধরনের খেলাধুলায় কিং রাজ ধারাভাষ্য দিয়ে থাকেন। এ পর্যন্ত তিনি ৬২৭ টি খেলার মাঠে ধারাভাষ্যকার হিসেবে মাইক্রোফনে দর্শকের কানে শব্দ ঢুকিয়েছেন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক-সামাজিক অনুষ্ঠানেও তার ছন্দবদ্ধ বাক্যে মানুষ আকৃষ্ট হন। এসব পরষ্কারগুলো বিচিত্র এই মানষটি একটি কামরাতে যতে সাজিয়ে রেখেছেন।
টি পুরস্কার উঠেছে। পুরষ্কারের মধ্যে রয়েছে মোবাইল, টেলিভিশন, ঘড়ি, ছাতা, চশমা, ডিনারসেট, এস, টি সার্ট প্রভৃতি। পেয়েছেন দেড় শতাধিক মেডেল ও সম্মননা।