জাহিদের ক্রয়কৃত জমি অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখল নিচ্ছে হাবিব মাষ্টার গং


স্টাফ রিপোর্টার
রাজধানীর খিলক্ষেত থানার অন্তর্গত ডিএনসিসি ৪৩ নং ওয়ার্ড ডুমনী নূর পাড়া এলাকায় জনৈক জাহিদ ৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন । এর মধ্যে ৩.৮০ শতাংশ জমি অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার সুলতান মেম্বারের ছেল ডুমনী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাবিব মাস্টার গংদের বিরুদ্ধে। জানা যায়, হাবিব এর স্ত্রীর বড় ভাই বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে এস আই হিসেবে কর্মরত রয়েছে। তারই ক্ষমতার দাপটে এলাকায় বিভিন্ন লোকের জমি দখলসহ নানান অপকর্ম করে যাচ্ছে বিএনপি সমর্থক হাবিব মাস্টার গং। শুধু তাই নয়, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের জমিতেও বিভিন্ন পন্থায় ঝামেলার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রতিনিয়ত। হাবিব
এসআই এর সর্বক্ষেত্রে পুলিশি ক্ষমতা দেখায় এবং হাবিব মাস্টার একজন জমি দখলবাজ বলেও অভিযোগ করেন অনেকেই। সে তার চাকরির ক্ষেত্রেও বিএনপিমনস্ক শিক্ষকদের সমর্থন করে অর্থাৎ দলাদলি করে প্রভাব বিস্তারের অপচেষ্টায় লিপ্ত । সে সুবিধাবাদী ও সময় সুযোগ বুঝে খোলসপাল্টানো, লেবাসধারী একজন ধূর্ত প্রকৃতির লোক বলেও এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু ব্যক্তি জানায়। সে প্রকৃত বিএনপির লোক। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন (বসুন্ধরা গ্রুপ) হাবিব গংদের নিকট থেকে যতটুকু জমি কিনেছে, ততটুকু জমি নিয়েছে। ভুক্তভোগী জাহিদ বলেন আমি একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আমার ক্রয়কৃত ৮ শতাংশ জমি হতে ৩.৮০ শতাংশ জমি হাবিব গং ৩ বছর ধরে অবৈধভাবে পেশিশক্তি প্রদর্শন করে দখল করে রেখেছে। আমি আমার জমি দখলমুক্ত করার জন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আমার ক্রয়কৃত জমি দখল নেয়ার চেষ্টা করছি। বর্তমানে হাবিব মাস্টার গং আমার জমিতে জোরপূর্বক সীমানাপ্রাচীর, ঘর নির্মাণ করছে, আমি আইনগতভাবে থানা পুলিশ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বাধা প্রদান করি, তারা পুলিশের নিষেধ উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন হাবিব এর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় একজন পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় তার ক্ষমতার দাম্ভিকতা দেখিয়ে এসব করে যাচ্ছে তারা । আমি কোন আইনগত ব্যবস্থা নিলে তারা আইনের উপেক্ষা করে আমার উপর হামলা মামলা করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এখন আমি আমার জান মালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে খিলক্ষেত থানায় জিডি করা হয়েছে বলেন জাহিদ। উক্ত বিষয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসক ও ডি এম পি কমিশনার এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ভুক্তভোগী জাহিদ।।