

বিবিএস স্পোর্টস ডেস্ক: ইংল্যান্ডকেও প্রথম ওয়ানডেতে ফেলেছিলেন বেশ বিপাকে। ইংলিশ পেসার মার্ক উড জানালেন, তাতে অবশ্য তাদের শাপে বরই হয়েছে। তাসকিনের দেখানো পথেই এরপর হেঁটেছেন তার সতীর্থ পেসাররা, হয়েছেন আরও ক্ষুরধার।
শুরুর ওয়ানডেতে বাংলাদেশ যে শেষ পর্যন্ত লড়েছে, তাতে তাসকিনেরও অবদান ছিল বেশ। শুরুর দিকে উইকেট পাননি বটে, কিন্তু কিপটে বোলিংয়ে ইংলিশদের চেপে ধরেছিলেন ঠিকই। সেই চাপেই ইংলিশরা উইকেট খোয়াচ্ছিল নিয়মিত বিরতিতে। ডেভিড মালান একপাশ ধরে না রাখলে সে ম্যাচে জয়টাও অসম্ভব ছিল না বাংলাদেশের।
তাসকিনের এমন বোলিং ইংলিশদের মুগ্ধই করেছে। মার্ক উড বললেন, ‘খুবই ভালো, সে শুধু আমাকে নয়, সবাইকে মুগ্ধ করেছে। গোটা দল বলাবলি করছিল, কী দারুণ বল করেছে সে।’
ব্যাটাররা যখন হাঁসফাঁস করছেন তাসকিনের সামনে, তখন ইংলিশ পেসাররাও বসে ছিলেন না। সে ম্যাচে তার বোলিং খুব ভালোভাবেই পর্যবেক্ষণ করেছেন, নিয়েছেন শিক্ষাও। উডের ভাষ্য, ‘তার গতি আছে, ভালো জায়গায় বল করেছে। আমার মনে হয় প্রথম ম্যাচে সে দেখিয়েছে কোন জায়গায় বল করতে হবে, সত্যিই। তার পারফরম্যান্স থেকে অনেক কিছু শিখেছি, আমি, জোফরা (আর্চার), ওকসি (ক্রিস ওকস); সে কোথায় বল করে সেটা শিখেছি। সে আমাদের অনেক চাপে ফেলে দিয়েছিল, কাজটা কঠিন করে তুলেছিল। সে শুধু উইকেটই তুলে নিচ্ছিল না, রানও করতে দিচ্ছিল না।’
যে ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলছিল তাসকিন, তারাও মুগ্ধ হয়েছে তার বোলিংয়ে। ইংলিশ পেসার জানালেন, ‘সে খুবই মুগ্ধ করেছে, সে এমন একজন, যার প্রশংসা ব্যাটাররাও করেছে। আশা করছি, এটা সে ধরে রাখতে পারবে না, উইকেটও ধরে রাখতে পারবে না।’
মালান-বীরত্বে সেই ম্যাচে শেষমেশ জয়টা তুলে নিতে পেরেছিল ইংলিশরা। পরের ম্যাচটা জিতে বাগিয়ে নিয়েছে সিরিজটাও। নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশের ফর্ম আর বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে ইংলিশরা এই সিরিজ জয়কে দেখছে বেশ গুরুত্ব দিয়েই। উড বললেন, ‘বাংলাদেশকে তাদের মাটিতে অনেক বড় বিষয়। বিশেষ করে তখন, যখন আমরা বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছি। আমরা তো প্রায় একই ধরনের কন্ডিশনে খেলব।
এই বিরুদ্ধ কন্ডিশনে দলের এমন জয়ের পেছনের কারণটাও উড জানাতে ভুললেন না। বললেন, ‘এই ইংল্যান্ড দলটা কেবল সামনের দিকেই এগিয়ে যেতে চায়, কখনও ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে চায় না। এই দলের একে অন্যের প্রতি বিশ্বাসটা বিশাল। আমরা যখনই জিতেছি, একে অন্যের প্রতি বিশাল বিশ্বাস রেখেই জিতেছি।’