দলবদ্ধ ধর্ষণ-হত্যার পর স্কুলছাত্রীর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়
বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলেন, মো. শাহজাহান, মো. শহিদ মিয়া, মাছুম বিল্লাহ, আলমগীর হোসেন ও রাসেল মিয়া। শাহজাহান ও শহিদ মিয়ার নামে এর আগেও ফুলবাড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার সবার বাড়ি ফুলবাড়িয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে।


ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলেন, মো. শাহজাহান, মো. শহিদ মিয়া, মাছুম বিল্লাহ, আলমগীর হোসেন ও রাসেল মিয়া। শাহজাহান ও শহিদ মিয়ার নামে এর আগেও ফুলবাড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার সবার বাড়ি ফুলবাড়িয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে।
ইটভাটার আটজন শ্রমিক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর মরদেহ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় তারা।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ফুলবাড়িয়া উপজেলার একটি গ্রামে বাড়ির পাশ থেকে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রথমে স্থানীয় মানুষ আত্মহত্যার ধারণা করলেও সুরতহালের পর পুলিশের ধারণা হয়, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের কারণে কিশোরীর মৃত্যু হতে পারে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
ফের ডাবলু সরকারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
এ ঘটনায় গত রোববার ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে পাঁচ থেকে ছয়জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যার মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ সুপার মাছুম আহমদ ভুঁঞা জানান, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে শৌচাগারে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয় ওই স্কুলছাত্রী। এ সময় একটি সংঘবদ্ধ দলের কবলে পড়ে সে।
ওই আটজন মিলে ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। পুলিশ এ ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে দুজন শুক্রবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বাকি তিনজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।