ধরলা নদীতে বোমামেশিন স্রোত পরিবর্তন নদীভাঙ্গনে আশংকা বাড়াচ্ছে: নিশ্চুপ পাটগামের দায়িত্বশীল মহল
পাটগ্রামে উপজেলাধীন ধরলা নদী থেকে অবৈধ বোমামেশিন বসিয়ে রাতের আধাঁরে বালু ও পাথর উত্তোলন চলছে প্রতিনিয়ত। তীব্র নদী ভাঙ্গন, ভূমি ধ্বসের পাশাপাশি পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা করছে স্থানীয়রা। পাটগ্রাম উপজেলার ধরলা নদী থেকে প্রতি রাতে বোমা মেশিন দিয়ে পাথর ও বালু উত্তোলন চলছে দেদারছে, নদীর ভূগর্ভস্থ থেকে বোমা মেশিনের সাহায্যে এসব পাথর ও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে,ফলে নদীর বিভিন্ন জায়গায় গভীর খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় নদীর স্বাভাবিক গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে।


পাটগ্রাম প্রতিনিধি: এতে নদী তীরবর্তী এলাকায় তীব্র নদী ভাঙ্গনের ফলে বসতবাড়ি ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে আগামী বর্ষায় এর ফলে অনেক ভূমি নদীগর্ভে যাবে। বোমামেশিন দিয়ে ভূগর্ভস্থ বালু ও পাথর উত্তোলনের ফলে বড় ধরনের ভুমিধসের আশাংকা তৈরী হয়েছে পাটগ্রাম উপজেলার আশপাশ এলাকায়।
অভিযোগ রয়েছে অসাধু বালু ও পাথর উত্তোলন কারীরা প্রশাসন কে ম্যানেজ করে এই বোমা মেশিন চালাচ্ছেন।প্রতি মেশিনের জন্য এক রাতে ১৪,০০০ টাকা গুনেদেন প্রশাসন কে, বিষয়টি স্বীকার করে (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) এক মেশিন মালিক। এই টাকা সংগ্রহ করছে প্রশাসনের নিয়োজিত একাধিক সোর্স।
এই মহলের কিছু সদস্য প্রভাবশালী ও দাঙ্গাবাজ হওয়ায় ভুক্তভোগীগন মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে। পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমার, কুচলিবাড়ি,শ্রীরামপুর ইউনিয়ন, পাটগ্রাম সদর ইউনিয়ন ও সহপাটগ্রাম পৌর এলাকায় মোট প্রায় ৪০ টি বোমামেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
পাটগ্রাম ইউনিয়নের হরিসভা এলাকায় খলিল,বুলেট,,মসজিদ পারে মিল্লাত,প্রধান পাড়ায় আমিন মিয়া , মাঝিপাড়া এলাকায় রিজু, চিলার বাজার এলাকায় রুমন,আবুল কালাম মাষ্টার, পেদিরবাড়ী এলাকায় সাফিউল, রাসেল ও দেলোয়ার, মাশানটারী এলাকায় রবিউল মেম্বার,শাহীন ও নুুরজ্জামান।
বুড়িমারি ইউনিয়নের উফারমারা এলাকায় ছোটবাউ, ঘুন্টি এলাকায় রাশেদ , মিনহাজ ,তরিকুল ,কুলিবাড়ী ইউনিয়নে রাজীব সহ শ্রীরামপুর ইউনিয়নে একাধিক বোমামেশিন দিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে।পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান (ভারপ্রাপ্ত) অবৈধ বোমা মেশিন দিয়ে পাথর ও বালু উত্তোলন প্রসঙ্গে বলেন,পাটগ্রাম উপজেলা প্রশাসন এই ব্যাপারে সজাগ রয়েছে,আমরা তথ্য পেলেই সঙ্গে সঙ্গে সেখানে অভিযান পরিচালনা করছি,যারাই এই কাজে সম্পৃক্ত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম রসুল বলেন বোমা মেশিন দিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে,বোমা মেশিন দিয়ে যারাই বালু ও পাথর উত্তোলনের চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
অনেকের দাবি কিছু নামধারী নেতা প্রসাশনের নামে টাকা নেয় রাতপ্রতি, কিছু নামধারী সংবাদিক পরিচয়ে টাকা নিচ্ছে সাংবাদিক মহল নিয়ন্ত্রণের নামে। পাটগ্রাম উপজেলার প্রকৃতি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, পেশাদার সংবাদ কর্মীদের সন্মান প্রশ্নবিদ্ধ।লালমনিরহাট জেলার দায়িত্বশীল মহলের সচেতনতা ও পাটগ্রাম উপজেলার দায়িত্বশীল মহলের জোড় ভূমিকায় রোধ হতে পারে এই বিপজ্বয়।