নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ফের মাইন বিস্ফোরণে পা হারালো বেলাল


মোহাম্মদ ইউনুছ নাইক্ষ্যংছড়ি, ১৬ নভেম্বর ২২ইং
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বহুল আলোচিত পশু পাচারের জোন পয়েন্ট নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি পয়েন্টে স্থলমাইন বিষ্ফোরণে ‘ পা ‘ হারালো গরু কারবারী বেলাল হোসেনের। সে সীমান্তর্বতী রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের পূর্বহাজির পাড়া গ্রামের আবুল হাশেমের পুত্র।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৬নভেম্বর) সকাল ৮টায়। সে বর্তমানে ককসবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয়রা জানান,মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চোরাচালানের জোন পয়েন্ট
রয়েছে ৫ টি।
তন্মধ্যে সীমান্তের সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের জামছড়ি নামক এলাকার ৪৪-৪৭ সীমান্ত পিলার পয়েন্ট অন্যতম । আর এ পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমারে গরু আনতে যায় বেলাল। প্রতিদিনকার ন্যায় বুধবার ভোরেও সে দলবল নিয়ে যায় সেখানে। সেখানে মিয়ানমারের বিদ্রোহী আরকান বাহিনী কর্তৃক পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণ ঘটে ।
এতে তার বাম ‘পা’ উড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে এমন খবর পাওয়া গেছে। এর আগেও মাইন বিষ্ফোরণে সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্টে
বেশ কয়েকজন লোক হতাহত হয়। অনেকে নিখোঁজ ও রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান,মাইন বিষ্ফোরণে হতাহত অনেকেই সীমান্তের জিরো পয়েন্টে মাইন বসনো এলাকায় পড়ে রয়েছে। এমনকি বিভিন্ন প্রাণীও। যার জন্যে সীমান্তের কাছাকাছি গেলেই দূর্গন্ধে নাক বন্ধ হয়ে যায়। এমনটাই জানিয়েছেন ৪৫ পিলারের ছৈয়দ আলম,নুরুল আলমসহ অনেকেই।
৪৬ পিলারে বসবাসকারী আবদুচ্ছালাম,মো করিম ও একই কথা জানান প্রতিবেদককে।এ ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,উক্ত বিষয়ে তিনি অবগত হয়েছেন এবং বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে অবহিত করেছেন।