চাকরি

নাভারন হাইওয়ের সার্জেন্ট রফিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে

সার্জেন্ট রফিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোর জেলার নাভারন হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট রফিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।

আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন এই সার্জেন্ট রফিকুল ইসলাম রফিক। চিহ্নিত এই সার্জেন্টের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও বহাল তবিয়তে ঘুষ বাণিজ্যে করে চলেছেন বলে জানা গেছে।

চাঁদাবাজির বিষয়ে মাইক্রো চালক জহিরুল ইসলাম জানান, আমার গাড়ির মালিক রানার ৫ টি গাড়ি দেখা শোনা করি এর মধ্যে ঢাকা মেট্রো-চ-৫১-৮২৯৮ নামক একটি মাইক্রো গত এক মাস পূর্বে হাই রাস্তায় আটক করেন সার্জেন্ট রফিক।

সে সময় সার্জেন্ট রফিক আমার গাড়ি কয়েক বছর কাগজ ফেল থাকায় তিনি গাড়িটি আটক করে ৬৫ (পয়ষট্টি হাজার) টাকা চাঁদা দাবি করেন তা না হলে আমার গাড়ি ডাম্পিং করে দেওয়ার ভয় দেখায়, আমি তখন কোন উপায় না পেয়ে বিষয়টি আমার গাড়ির মালিক রানাকে জানাই। আমার গাড়ির মালিক ও আমি সার্জেন্ট রফিকের টেন্ডেল মানির ও রাজ্জাক এর মাধ্যেমে নাভারন মোড়ে মুসলিম হোটেলে বসে সার্জেন্ট রফিকের সাথে বিষয়টি ৪৩ তেতাল্লিশ হাজার টাকায় রফাদফা করি। এসময় সার্জেন্ট রফিক আমাদের জানাই এই মাইক্রোটি আগামী দুই মাসের মধ্যে কাগজ করে নিতে আমরা তাতে রাজি হই কিন্তু ১ মাস না যেতেই ১৯ই এপ্রিল (বুধবার) সার্জেন্ট রফিক আবারও আমাদের মাইক্রোটি আটক করে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। তখন আমি পূর্বের চাঁদা নেওয়ার বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করলে আমাকে পরে দেখে নেবে বলে গাড়িটি ছেড়ে দেই। এছাড়াও চালক জহিরুল ইসলাম জানান, আমরা প্রতি মাসে নাভারন হাইওয়ের সাথে চুক্তিকৃত প্রতিটি গাড়ির জন্য ৩০০ টাকা করে দেই তারপরও নানা অজুহাতে আমাদের গাড়ি আটক করে মামলা দিবে বলে চাঁদা দাবি করে।
শার্শা ও নাভারনের বিভিন্ন গাড়ির চালকরা জানান, মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন বাস,প্রাইভেট,মাইক্রো, ইজিবাইক, নচিমন, করিমন, আলমসাধু, থেকে মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে ২ থেকে ৫হাজার টাকা আদায় ছাড়াও বছরে বিভিন্ন চুক্তিতে এ সকল যানবাহন গুলোকে রাস্তায় চলার পারমিট প্রদান করে থাকেন। এছাড়াও মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানবাহন থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করছে হাইওয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা।

চাঁদার বিষয়ে নাভারন হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট রফিকুল ইসলাম রফিকের মুঠোফোন (০১৩০৫-৫০০৪৫০) নাম্বারে জানতে চাইলে তিনি জানান, কোন ব্যাক্তি অভিযোগ দিলেই তো সত্য হবে না আপনি বিষয়টি জানতে আমার ফাঁড়িতে এসে দেখা করুন। এর কিছুক্ষন পর তিনি উক্ত গাড়ির মালিক রানাকে হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে ডেকে ভয়ভিতী দেখিয়ে নিউজ না করার জন্য সাংবাদিককে ফোন দেওয়ান।

এ বিষয়ে নাভারন হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সার্জেন্ট রফিকের চাঁদাবাজির বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে তিনি বিষয়টি জানেন না বলে জানান, তবে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান। এছাড়াও হাইওয়েতে মাসিক চাঁদাবাজির বিষয়য়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বিকার করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button