নীলা এখন ঢাকা মেডিকেলে


জসিম উদ্দিন :
আপনাদের কি মনে আছে ছোট্ট শিশু সেই নীলার কথা? যে নীলা দীর্ঘ ৮ বছর ধরে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে এক কঠিন যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে।
দৈনিক যশোর পত্রিকা সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নীলার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য কামনা করে বিস্তর লেখালেখি করা হলেও এখনো তেমন কোন সাড়া মেলেনি।
অথচ নীলার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন মাত্র ৩ লাখ টাকা। দেশের ২০ কোটি মানুষের কাথা বিবেচনা করলে ৩ লাখ টাকা কিছুই না। তবুও একটি ছোট্ট শিশুর আর্থিক সাহায্যের সেই করুন আর্তনাদে হৃদয় গলেনি বিত্তশালী মানুষের। থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত শিশুটির পুরো নাম সানিয়া আফরিন নীলা। সে শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের আসাদুজ্জামানের মেয়ে।
কোটি কোটি মানুষের মাঝ থেকে চাহিদা অনুযায়ী সাড়া না মিললেও এ পর্যন্ত যারা সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে সেই যতসামান্য অর্থ ও মানুষের উপর ভরসা করে নীলাকে গত রবিবার ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন শিশুটির মা বাবা। অপারেশন এখন জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে তার। অপারেশনে তার পেটের ফুলো ও জ্বালা যন্ত্রণা কম হবে। তবে সুস্থ্য হলে থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
নীলার বাবা আসাদুজ্জামান বলেন, এটা একটা ব্যায় বহুল রোগ। আপনাদের দেয়া সাহায্যে নীলার চিকিৎসা চলমান রয়েছে। তবে অপারেশনের সমস্ত টাকা যোগাড় হয়নি। এখনো দু’লাখ টাকার অভাব রয়েছে। টাকার অভাব থাকায় অপারেশনে বিলম্ব হচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে এখন দিন দিন নীলা আরো অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। এজন্য টাকা যোগাড় না হলেও তাকে ঢাকায় নেয়া হয়েছে।
নীলার অপারেশনের বাকী টাকাটা কম বেশী করে হলেও সকলে মিলে সাহায্য অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। নীলার বাবা আসাদুজ্জামান এর বিকাশ, নগদ ও রকেট একাউন্ট নং – ০১৭৮৪-৫৫৪২৯১ তে অপারেশন চলাকালীন সময়ে টাকা পাঠাতে পারবেন। নীলার জীবন বাঁচাতে সকলে এগিয়ে আসবেন এমনটাই কামনা করেন নীলার অসহায় মা বাবা।