পাইলটের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ


ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান খান, স্টাফ রিপোর্টার:: শরীয়তপুরের সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম পাইলটের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে চার্জশিট প্রদান করেছে বংশাল থানা পুলিশ । শনিবার ১২ নভেম্বর আদালত থেকে প্রাপ্ত চার্জসিটে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বংশাল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের গত ১৯ অক্টোবর প্রতিবেদনটি অগ্রগামী করে আদালতে প্রেরণ করেন । দীর্ঘ নয় মাস তদন্ত শেষে বংশাল থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক প্রদীপ কুমার সরকার মামলাটির অভিযোগ পত্র নং ৬৭৮ দাখিল করেছেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর ৯ এর ১ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারের জন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করেন পুলিশ। পুলিশ ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ভিকটিম ও আসামী পাইলটের মেডিকেল রিপোর্ট ও ডিএনএ টেস্ট সম্পন্ন করেন।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পুরাতন জেলখানা এলাকার বিধবা এক নারী সাংবাদিক (৪০) আসামি শহিদুল ইসলাম পাইলটের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। আসামি পাইলট এর সাথে পূর্ব হতে প্রেমের সম্পর্ক সূত্র ধরে ৩০ জানুয়ারি তারিখ বেলা অনুমান ১২ ঘটিকার সময় বাড়ির বাসায় গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
আসামি শহিদুল ইসলামের পাইলটের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলায়। তিনি আব্দুল মালেক মাঝির পুত্র এবং দৈনিক রুদ্র বাটপার বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক। এ ছাড়া দৈনিক সমকালের জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ মামলা দায়েরের পর সমকাল থেকে তাকে চাকরিচ্যুতি করা হয় বলে জানা গেছে। শহিদুল ইসলাম পাইলট বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি পদে থেকে সংগঠনের একজন নারী সাংবাদিকের সাথে এহেন আচরণের দায়ে সংগঠন থেকে মামলা দায়েরের পর মার্চ মাসে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শরীয়তপুরের একাধিক সাংবাদিক জানিয়েছেন ইতিপূর্বেও পাইলট একাধিক ধর্ষণ ঘটনায় আসামি হয়ে কারাবন্দি ছিলেন। পাইলটের কারণে শরীয়তপুরের সাংবাদিকরা মানুষের কাছে লজ্জায় মুখ দেখাতে পারেন না।
আসামি পাইলট এর পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে মামলাটি প্রত্যাহার করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে বাদী শনিবার দুপুরে এক সাক্ষাৎকারে এ অভিযোগ করেছেন।