

বিবিএস নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল বুধবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে সব পাড়া-মহল্লায় সতর্ক পাহারা বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশকে ইঙ্গিত করে এ মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ছাত্রলীগের সম্মেলনে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
ছাত্রলীগকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, সব মহল্লায়, পাড়ায়, জেলায়, মহানগরে, ওয়ার্ডে, ইউনিয়নে, উপজেলায়, থানায় সব জায়গায় সতর্ক পাহারা। আগামীকাল থেকে সতর্ক পাহারা। শেখ হাসিনার অঙ্গীকার মানুষকে বাঁচাতে হবে। মানুষের জানমাল নিরাপদ করতে হবে।
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, চট্টগ্রাম শেখ হাসিনার ঘাঁটি ৪ ডিসেম্বর তা প্রমাণ হয়েছে। সেখানে মহাসমাবেশ নয়, মহাসমুদ্র হয়েছিল। বিএনপির ডাকে মহাসমাবেশ বাস্তবে হয় সমাবেশ। আওয়ামী লীগের ডাকে সমাবেশ বাস্তবে হয় মহাসমাবেশ। এটাই হলো বাস্তবতা। আটটি সমাবেশ একত্রিত করলে চট্টগ্রাম হয়। যেখানে কর্ণফুলীর ঢেউ বঙ্গোপসাগরের উত্তাল তরঙ্গ আছড়ে পড়েছিল।
ছাত্রলীগের সম্মেলনে অংশ নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরছাত্রলীগের সম্মেলনে অংশ নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, গত ৪৮ বছরে বাংলাদেশের সবচেয়ে সাহসী নেতার নাম শেখ হাসিনা। ৪৭ বছরের সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক ও জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা। সবচেয়ে সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা।
দলের সভাপতি ও সরকাপ্রধান শেখ হাসিনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ দুঃসময়ে যার ঘুম হয় না। জিজ্ঞেস করেছিলাম কতক্ষণ ঘুমান? তিনি বলেন তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা। এই হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি আমাদের ক্রাইসিস ম্যানেজার। সংকট সামলেছেন। ভ্যাকসিন দিয়েছেন বিনা পয়সায়।
দেশের উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশে আবারও ঘুরে দাঁড়াবে। উন্নত বিশ্বে মূল্যস্ফীতি দশের ওপরে। বাংলাদেশ ৯ দশমিক ৫ থেকে নেমে ৮ দশমিক ৭৩ হয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমছে। রফতানি আবার বাড়ছে। আবার বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের রেমিটেন্সও আজ বাড়তির দিকে।
তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা। এর প্রতিক্রিয়াও সারা দুনিয়ায়। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সঠিক পথে আছেন। সামলিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট এসে বলে গেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা আমি সারা বিশ্বকে জানাবো। এই উন্নয়ন বিশ্বকে চমকে দিয়েছে।
ছাত্রলীগের নেতাদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, খেলা হবে? হবে খেলা? ডিসেম্বরে খেলা হবে? নির্বাচনে হবে? আন্দোলনে হবে? ভোটচুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে। আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খেলা হবে। লাঠির বিরুদ্ধে খেলা হবে।
তিনি বলেন, বিজয়ের মাস প্রস্তুত হয়ে যান। ১০ ডিসেম্বরের হাঁকডাক। পতন করবে সরকারের। পতন? ১৩ বছরে ১৩ মিনিট দাঁড়াতে পারেননি। সব মহল্লায়, পাড়ায়, জেলায়, মহানগরে, ওয়ার্ডে, ইউনিয়নে, উপজেলায়, থানায়। সব জায়গায় সতর্ক পাহারা। আগামীকাল থেকে সতর্ক পাহারা।
শেখ হাসিনার নির্দেশে মানুষের জানমাল নিরাপদ করতে হবে উল্লেখ করেন তিনি। বিএনপিকে ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, তাদের বিশ্বাস নেই। বিআরটিসির গাড়ি পুড়িয়েছে রাতের অন্ধকারে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর পুড়িয়ে দিয়েছে। এরা কারা? এরা জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। এরা সাম্প্রদায়িকতার ঠিকানা। এরা কারা? বাংলাদেশ নালিশ পার্টি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা উদারতা দেখিয়ে বলেছেন সভা-সমাবেশ করুক। করছেন। সুযোগ পাচ্ছেন। ফকরুল সাহেব! জানি অন্তরে কেন এত জ্বালা। জ্বালারে জ্বালা, বুকে বড় জ্বালা। অন্তরে বড় জ্বালা। পদ্মা সেতু শেখ হাসিনা করে ফেললো? এটা নাকি জোড়াতালি দিয়ে হচ্ছে এটা খালেদা জিয়া বলেছিল। সেই পদ্মা সেতুতে এখন প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি চলছে। এ মাসের শেষে দেখবেন মেট্রোরেল। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেল। শত সেতু একদিনে উদ্বোধন। আছে পৃথিবীতে? ঢাকা-টাঙ্গাইল ছয় লেনের কাজ প্রায় শেষ।