

আবু সাঈদ চৌধুরী গাজীপুরঃ
গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে এক প্রতিবন্ধী বোবা নিজে তার মৃত্যুর কথা দাদীকে জানিয়ে আসার প্রায় ১ ঘন্টা পর নিজ ঘরে এসে আড়ার সাথে গলায় গামছা পেঁচিয়ে মেহেদী হাসান জনি (৩৩) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যায়।
ঐ সময় দাদীর নিকট নিজের জমির দলিল, ২০০ টাকা ও একটি বাটন মোবাইল বুঝিয়ে দেন।ঘটনাটি ঘটে রবিবার দুপুরে ৪১ নং ওয়ার্ডের খিলগাঁও পশ্চিমপাড়া এলাকার বোবা মেহেদী হাসান জনি এর নিজ ঘরে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।সে খিলগাঁও এলাকার জাকির হোসেন এর ছেলে।
মৃত্যুর পূর্বে সে মাদকাসক্ত ও মানসিক বিপর্যয়ে ভোগছিল বলে জানায় তার পরিবার। তার আপন দাদির সাথে তার সুখ দুঃখ নিয়ে মাঝে মাঝে কৌশল বিনিময় হতো।একটি সাদা কাগজে তার নিজের মত করে কিছু লিখা থাকলেও তাতে কিছু মনে করছেন না তার পরিবার ও পিতা জাকির হোসেন।
শিশু বয়সে তার জন্মদাতা মা- বাবা বিবাহ বিচ্ছেদ করে পূর্বেই পৃথক ভাবে সংসার করছেন। আর মেহেদী হাসান জনি নিজ দাদীর দেওয়া জমিতে এলাকাবাসীদের সহযোগিতা নিয়ে ছোট্ট একটি টিনের ঘরে একাই বসবাস করছিলেন।বিভিন্ন সময় বউকে নির্যাতনের কারণে বউ তার অত্যাচারে ছেলে সন্তান দুটিকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যায়। ছেলে সন্তান ও স্ত্রী পাশে না থাকায় একা একা বসবাস করতে করতে সে অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। মৃত্যুর আগে তার বিরুদ্ধে ঘরপোড়ানো মামলা, মাদক ও চুরির একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
নিহতের পিতা জাকির হোসেন জানান, আমার বোবা ছেলে স্বেচ্ছায় নিজে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে,এতে কারো প্রতি আমার কোন আপত্তি বা অভিযোগ নেই। কিন্তু কতিপয় সাংবাদিকের মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশের ফলে আমার এবিষয়ে আপত্তি না থাকা সত্ত্বেও কেন আমার ছেলের লাশ আমাকে দেওয়া হয়নি তা আমি পুলিশের কাছে জানতে চাই।
এব্যাপারে পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম কে মুঠোফোন একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।