খুলনা

বটিয়াঘাটায় গরু চোর চক্রের সক্রিয় ২ সদস্য আটক

গরু চোর চক্রের সক্রিয় ২ সদস্য আটক

মহিদুল ইসলাম শাহীন, বটিয়াঘাটাঃ
বটিয়াঘাটা থানার বাইনতলা বাজার এলাকায় এসআই আব্দুল আজিজ ও এএসআই (নিঃ) গোলাম রসুল সংগীয় ফোর্সসহ ২৮ এপ্রিল সন্ধার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা গরু চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য সামছুল হুদা অরফে সাম(৩০) ও মোজাম্মেল খান অরফে মোজাম্মেল (২৮) নামে দুজন গরু চোরকে আটক করেন। গরু চোর সাম রুপসা থানার বামনডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মালেক মোল্লার ছেলে অপর আসামী মোজাম্মেল একই গ্রামের সোহরাব খান এর ছেলে।

সূত্রে জানা যায়,গত ২৬/৩/২৩ তাং রাতে বটিয়াঘাটার তেতুলতলা গ্রাম থেকে সাদ্দাম হাওলাদার ও তার প্রতিবেশী মালেক হাওলাদারের গোয়াল থেকে ৭ টি গরু চুরি করে বৃহৎ এই চক্র।

পরবর্তীতে তাদের গরু খোজাখুজির প্রাককালে হরিনটানা থানার পুটিমারি গ্রাম থেকে আসামি বাবলু শেখ এর বাড়ি থেকে ৭ টি চোরাই গরু উদ্ধার হয়। সে সময় উপরে উল্লেখিত আসামি সাম ও মোজাম্মেল সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন চোর পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় ধৃত বাবলু শেখ সহ পলাতক অজ্ঞাতনামা কয়েক জনের বিরুদ্ধে বটিয়াঘাটা থানার মামলা নং ১৫ তাং ২৭/৪/২৩। পলাতক উক্ত আসামীদ্বয়কে আদালতে প্রেরণ করেছেন ঐ মামলার তদন্তকারী কর্সকর্তা সহকারী পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আজিজ। আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ গরু চুরি ও চোরাইগরু ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত। চোরেদের নিকট জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় বাগেরহাট সদর থানার চুলকাঠির ছোট সুজন, বখতিয়ার, আতিয়ার,সুখটাক,হৃদয়। কচুয়া থানার উজ্জল,কালাম। শরনশোলা থানা রায়েন্দার মতি। রামপাল থানার মিজান ও ফয়লার জামাই সুজন, ফকিরহাট থানার আল আমিন, সিএমবি বাজারের সালাম। মোড়লগন্জ থানার নোমান। বটিয়াঘাটা থানার লক্ষীখোলার জিয়া, ভাতগাতির হাসিব। তেরখাদা থানার ওবাইদুল। সোনাডাঙ্গা থানার সজিব। রুপসা থানার বামনডাঙ্গার সাম,মোজাম্মেল। গোপালগন্জের শাওন।

এছাড়া গরুচুরির কাজে যেসব পিকাপ ব্যাবহার হয় বটিয়াঘাটা লক্ষীখোলার জিয়া ১ টি, আল-আমীন ফকিরহাট ১ টি, সুজন চুলকাটি বাগেরহাট ১ টি,সালাম সিএমবি বাগেরহাট ১ টি,শাম গোপালগঞ্জ ২ টি, চায়না বাবুল ১ টি, রগকাটা বাবুল বয়রা রায়েরমহল ১ টি, ছোট সুজন চুলকাটি ১ টি, কামরান রুপসা ২ টি পিকাপ এই গরু চুরি কাজে ব্যবহার করা হতো। তারা

ফোন আলাপ চারিতায় পূর্বনির্ধারিত জাইগাই একত্র হয়ে ৫/৭ জন করে টিম ভাগ হয়ে রাত্র ১০/১১ টার দিকে পিকাপ যোগো দেশের বিভিন্ন গ্রাম গন্জে চলে যায়। তাদের পিকাপগুলো ডালা একটু উচা থাকে যাতে বাহির থেকে সহজে দেখা না যায়। মাছের ড্রাম বা ক্যারেট পেছনে দেওয়া থাকে। এই চক্র রাত গভীর হলে খুলনা,বরিশাল, রাজশাহী, বিভাগের যেকোন গ্রাম গন্জে ঢুকে রাস্তার পাশে পিকাপ রেখে চোরেরা গ্রামের গোয়ালথেকে গরু চুরি করে নিয়ে পিকাপে তুলে নিয়ে চলে আসে। প্রতিটা চোরের নামে গরুচুরি ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে।
এরা খুলনা মহানগরীর ভেতরে বিভিন্ন ভাড়া বাসায় বসবাস করে পলাতক থেকে এসব চুরির কার্যক্রম করে থাকে। গরু চোরগুলো বাববার পুলিশের কাছে গরুসহ ধরা পড়লেও তাদের বিচারের জন্য বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে আসামিরা কিছুদিন হাজত খেটে জামিনে বাইরে বের হয়ে দিব্যি গরুচুরি করে জীবন জিবিকা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের খেটে খাওয়া গরীব অসহায় মানুষের সন্তানের মত পরম যত্নে লালন পালন করা গরু যখন চুরি করে নিয়ে গরুগুলো বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করে সেই টাকায় চোরেরা স্বপরিবারে শহরে ভাড়া বাসায় ফুর্তি আর আরাম আয়েশের জীবনযাপন করলেও চুরি যাওয়া গরুর মালিকদের গরু উদ্ধার ও বিচারের আশায় আইন আদালতে দৌড়াতে দৌড়াতে লোকগুলোর চোখের পানি অধরায় থেকে যায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button