খুলনা

বটিয়াঘাটায় বাগদা চিংড়ি চাষে সফল উদ্যোক্তা মালতী গাইন

মহিদুল ইসলাম (শাহীন) বটিয়াঘাটা >>>>
চিংড়ি চাষের সফলতা দেখালো খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার খলসিবুনিয়া গ্রামের নারী উদ্যোক্তা পঞ্চানন গাইনের স্ত্রী মালতী গাইন। ২০১২ সাল থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে দুইটা পুকুর নিয়ে তিনি আধা নিবিড় চিংড়ি চাষ শুরু করেন মালতি গাইন। সামগ্রিক খরচ শেষে তিনি লাভ করলেন দুই লক্ষাধিক টাকা । তারপরে উৎসাহিত হয়ে মালতির পথ চলা শুরু। বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার অনুপ্রেরণায় উৎসাহিত হয়ে কৃত্রিম পদ্ধতিতে চাষ করে যাচ্ছেন” লোনা পানির সোনা “বাগদা চিংড়ি মাছের চাষ । দেশের চাহিদা পূরণ করে, দেশের গণ্ডি অতিক্রম করে আন্তর্জাতিক বাজারেও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তারা। ২০২২ সালে খুলনা জেলা পর্যায়ে জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হন মালতি গাইন।উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সব সময় সহযোগিতায় করছে আধা নিবিড় চিংড়ি চাষী নারী উদ্যোক্তা মালতি গাইনকে। এরই মধ্যে মালতীর দুইটা পুকুর থেকে এখন দশটা পুকুরের মালিক হয়েছেন । কিছু দিন আগে সাতটি পুকুরের মাছ বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাজার মূল্য ভালো না পাওয়ায় তুলনামূলক লাভবান হতে পারেনি বলে, মালতী গাইনের অভিযোগ । দ্রব্যমূল্যের এই চড়া বাজারে মাছের খাবার যোগান দিতে কষ্ট হয়েছে মালতির, তারপরেও থেমে থাকেনি তার স্বপ্ন । বাকি তিনটা পুকুরে মাছ ভর্তি রয়েছে, ঐ পুকুরের মাছে লাভের আশায় পথ চেয়ে আছেন মালতী । এভাবে হাজারও মালতির স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে বাংলার নিভৃত পল্লীতে । নারী উদ্যোক্তারা দেশের উন্নয়নে পুরুষের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে । শুধু সরকারের একটু সজাগ দৃষ্টি এবং সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করলেই নারী উদ্যোক্তাদের দ্বারা উন্নয়নের চাকা ঘুরবে । মালতীর স্বামী পঞ্চানন গাইন বলেন, মালতীকে আমি সব সময় সহযোগিতা করে থাকি। তবে তার মনবলের কারণে সাফল্যের দিকে যাচ্ছে মৎস্য খামার। তিনি দিনরাত পরিশ্রম করেন। সারাক্ষণ শুধু খামার নিয়ে তার জল্পনা কল্পনা। বর্তমান তার ঘেরের সংখ্যা ১০ টি। মালতী গাইন বলেন, আমি মৎস্য অফিসে প্রশিক্ষণ নিয়ে দুটি পুকুরে মাছ চাষ শুরু করি। প্রথম বছর বেশ লাভ হয়,বর্তমানে আমার পুকুরের সংখ্যা ১০টি। প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা লাভ হচ্ছে এবং প্রতি নিয়ত বিভিন্ন লোকজন আমার খামার দেখতে আসছে। আশা করি আমার খামার দেখে সকল নারীরা উৎসাহিত হবেন।
সার্বিক বিষয় বটিয়াঘাটা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল মামুন বলেন, আমাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ বা পরামর্শ দিয়ে অনেক নারী উদ্যাক্তা আধা নিবিড় চিংড়ী চাষে সফল হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম মালতী গাইন। মাছ চাষে তিনি জেলা পর্যায় পুরস্কারও পেয়েছেন। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ বাংলাদেশের মধ্যে বটিয়াঘাটার অবস্থান অন্যতম।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button