চট্টগ্রাম

বাঁশখালী থেকে অপহৃত ছেলে পেকুয়ায় উদ্ধার

বাঁশখালী প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে অপহৃত মোঃ হোসাইন (৭)কে পেকুয়া শিলখালী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

পেকুয়া থানা পুলিশ সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধির সমন্বয়ে দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ৫ অক্টোবর আনুমানিক রাত সাড়ে নয়টায় দিকে শিশুটিকে শিলখালী ইউনিয়নের পান বাজার এলাকার থেকে উদ্ধার কর‌া হয়েছে।

তবে অপহৃত ছেলেটিকে উদ্ধার করা গেলেও এ ঘটনার সা‌থে জড়িত পেকুয়া উপজেলা ৭নং শীল খালী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড এলাকায় ইসলাম নুরের ছেলে মোঃ জমির উদ্দিনকে আটক করা যাইনি।

অপহৃত মোঃ হোসাইনের মাতা বলেন,গত ৩ অক্টোব সংসারের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করতে ছেলেকে নিয়ে গুনাগরী খাসমহলে আসি,বাজার শেষে বাড়ি ফিরার পথে হঠাৎ বৃষ্টি আসলে গুনাগরীস্থ এগণি প্লাজার সামনে আমার ছেলেকে বাজারে পেকেট সহ দাঁড় করিয়ে কিছু দুর সামনে আপেলের দোকানে আপেল কিতে যায়, এসে দেখি আমার ছেলে নেই,আমি মূহুর্তে বাজারের সব কানে খোঁজা খুঁজি করে না পেয়ে,বাসায় গিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য কে এই বিষয় টি সেয়ার করলে,ওনারা আমাকে মাইকিং করতে বললে,মাইকিং করেও খোঁজ না পেয়ে,বাঁশখালী থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি করি,নিখোঁজ ডাইরি কার কিছুক্ষণ পর হঠাৎ আমার মোটো ফোনে একটি কল আসে,
রিসিভ করলে বলে উঠে
আমি জমির উদ্দিন তোমার ছেলে পেতে চাইলে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে পেকুয়া বাজার আসতে বলে,আমার ছেলেকে কেনো নিয়ে গেছ বললে অপহরণ কারী জমির উদ্দিন বলে আমাকে মারধর করেছে সাহায্য করনি উল্টো আমাকে দোষারোপ করেছ তার প্রতিশোধ নিচ্ছি বলে জানান অপহরণ কারী জমির উদ্দিন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ছেলেটি নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জানালে আমি প্রথমে মাইকিং করতে পরামর্শ প্রদান করি,তাতেও না পেয়ে আমাকে আবার জানালে গতকাল আমিসহ গিয়ে মাকে বাদি করে বাঁশখালী থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি কর করা হয়,ডাইরি করে বাসায় ফিরার পথে মূহুর্তে অপহৃত ছেলে মোঃ হোসাইনের মায়ের মোবাইল ফোনে হঠাৎ একটি ফোন আসে
ওই পাশ থেকে বলে উঠে আমি জমির উদ্দিন,তোমার ছেলেকে পেতে চাইলে দুই লক্ষ টাকা নিয়ে পেকুয়া বাজার আস,বিষয় টি আমি মূহুর্তে মধ্যে সাংবাদিক
মোহাম্মদ এরশাদ ভাইকে জানালে,তিনি সাথে সাথে বাঁশখালী থানার ওসি মোঃ কামাল উদ্দীন স্যারের সাথে কথা বলে ওনার সহায়তা নিয়ে,এরশাদ ভাই সাংবাদিক সামিম সরওয়ার আলম ভাইসহ পেকুয়া থানা যায়,যাওয়ার পথে অপহৃত ছেলের মার ফোন কৌশলে বন্ধ রাখা হয়,পেকুয়া থানায় আইনি কাজ সম্পন্ন করে,তিনটি গ্রুপ গঠন করে,মায়ের ফোন আবার অন করতে বলি,অন করার সাথে সাথে ফোন আসাতে শুরু করলে কৌশলে কোন জায়গায় যেতে হবে জিজ্ঞেস করলে ,
অপহরণ কারী জমির উদ্দিন একেক সময় একেক জায়গায় লোকেশন দিতে থাকে, শেষ মেষ আবার শিলখালী ইউনিয়নের কাছাড়ী মুড়া আসতে বললে,
তার আগে সাংবাদিক মোঃ এরশাদ ও সাংবাদিক সরওয়ার আলম ভাই,থাকে ধরতে আগে থেকে ওই এলাকায় পৌঁছে ওত পেতে থাকে, অপহৃত ছেলের মা যখন ওই জায়গায় পৌঁছে সাথে অপহরণ কারীর জামির উদ্দীনের দুই সহকারী এসে অটোরিকশা যোগাযোগে পূর্ব দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় কিছু দুরে যেতে ওই অপহরণ কারীর সহকারী দের পথ অবোধ করে,আমাকে ফোন করলে সাথে সাথে আমিও সাথে থাকা পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পৌঁছে দুইজনকে জব্দ করি,পরে তার এক সহকারীকে নিয়ে পূর্ব পাহাড় দীর্ঘ ৯ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে শেষ পযন্ত পেকুয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে থানা চলে আসে,অন্য দিকে সাংবাদিক মোঃ এরশাদ ভাই সরওয়ার আলম ভাই, পেকুয়া উপজেলার সাংবাদিক এরশাদের বন্ধু দেলোয়ার এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য মিলে রাত নয়টা পর্যন্ত বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে চেষ্টা চালিয়ে যায়।

তাতেও ব্যর্থ হয়ে শেষ মেষ র‍্যাব ৭ অফিসে সহায়তা চেয়ে ফোন করলে র‍্যাব ৭ উক্ত কাজে সহয়তা করার আশ্বাস প্রদান করা কথা বললে,তা স্থানীয় সহ অপহরণকারীর মা চাচা খবর টি শুনে পরবর্তীতে অপহৃত ছেলে মোঃ হোসাইনকে অপহরণ কারীর ছোট ভাই রবিউল আলমের মাধ্যমে শিলখালী ইউনিয়নের পান বাজার এলাকায় আনার পথে এক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির সহায়তায় পান বাজার এলাকায় আনলে পরে ইউপি সদস্য কে ফোন করলে সাথে সাথে ঘটনাস্থল গিয়ে ছেলেটি উদ্ধার করা হয়। পরে পেকুয়া থানা পুলিশকে খবর টি জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল পৌঁছে উদ্ধার করা ছেলেটিকে থানায় নিয়ে যায়।

পরে আইনি আইনি প্রক্রিয়া শেষে ছেলেটিকে তার নিজ বাড়ি সাধনপুর নিয়ে আসা হয়,ছেলটি উদ্ধারের জন্য আমাদের সাথে যাওয়া সাংবাদিক এরশাদ ভাইকে ধন্যবাদ জানায়,তাহার সুকৌশল বিচক্ষণতায় আজ আমি উক্ত ছেলেকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি বলে সাংবাদিক মোহাম্মদ এরশাদ ভাইসহ সাংবাদিক সরওয়ার আলম ভাই, সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি,এবং অপহৃত ছেলের পিতা মাতার সম্মতিক্রমে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।

সাংবাদিক মোহাম্মদ এরশাদ বলেন,আসলে গতকাল যে উদ্ধার অভিযান কাজ চালানো হয়েছে তা একমাত্র বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামাল উদ্দীন ভাইয়ের সহযোগিতা ও পেকুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি),তদন্ত সাহেব ও পেকুয়া থানা পুলিশের সকল কর্মকর্তা বৃন্দ আমার সহকর্মী সাংবাদিক সরওয়ার আলম,দেলোয়ার হোসেন ভাই ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ এজাজ ভাই শিলখালী ইউনিয়নের জনসাধারণের আন্তরিকতা ফলে ছেলেটি কে তার মায়ে বুকে পিছিয়ে দিতে পেরেছি,যারা যারা ছেলেটিকে উদ্ধারে সহয়তা করেছে তাদের সকলের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি এবং আন্তরিক ধন্যবাদ মোবারক বাদ জানান সাংবাদিক মোহাম্মদ এরশাদ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button