বাকেরগঞ্জে সড়ক সংস্কারের অভাবে ভোগান্তিতে পাঁচ গ্রামের মানুষ
সড়ক সংস্কারের অভাবে ভোগান্তিতে পাঁচ গ্রামের মানুষ


মুহা. সফিক খান, বাকেরগঞ্জ ।।
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে গোলদারবাড়ি নামক বাজার হয়ে ভরপাশা ইউনিয়নের প্রাণ কেন্দ্র থেকে বয়ে গেছে গোলদারবাড়ি সড়ক। সড়কটির অপর প্রান্ত মিশেছে বাকেরগঞ্জ-বরগুনা আঞ্চলিক সড়কের সঙ্গে। আরেক প্রান্ত শেখ হাসিনা সেনানিবাসের সঙ্গে সংযোগ হয়েছে।
জনঃ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বরিশাল-পটুয়াখালী মহা সড়ক থেকে গোলদারবাড়ি হয়ে কাদের মাস্টার বাজার পযন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার সড়কে যুগের পর যুগ সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ইট সোলিং উঠে গেছে তাও এক যুগ পার হয়েছে। ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এখন বর্ষার পানি জমে সড়কটিতে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
এখন চরম দুর্ভোগে পড়েছে ভরপাশা ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। এখন বর্ষা মৌসুমে সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে স্কুল-কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা কাদা পানিতে একাকার হয়ে যাচ্ছে। সড়কটির গোলদার বাড়ি বাজার সংলগ্ন সংযোগ মুখে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। এর ওপর দিয়ে হেলে দুলে ঝুঁকি নিয়ে অটোরিকশা চলাচল করতে গিয়ে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। এই সড়কের উত্তর-পশ্চিম দুধলমৌ আহমদিয়া দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন সড়কে বর্ষার পানিতে ডাঙ্গায় পরিণত হয়েছে।
উত্তর-পশ্চিম দুধলমৌ আহমদিয়া দাখিল মাদ্রাসা শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ওই সড়কে অবস্থান করে সড়কটি মেরামতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন একাধিকবার। মাদ্রাসার সুপারেন্ট আবুল হোসেন জানান, আমাদের মাদ্রসায় প্রায় ৪৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এখন প্রতিদিন মাদ্রাসায় আসতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা কেউ না কেউ দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে। তাই সড়কটি মেরামতের দাবিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এমন পরিস্থিতিতে ভরপাশা ইউনিয়নের প্রধান সড়কের বেহাল দশা নিয়ে ইউনিয়নবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী অবিলম্বে সড়কটি দ্রæত সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন বছরের পর বছর ধরে।
ভরপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশ্রাফুজ্জামান খান খোকন বলেন, সড়কটি এখন জনদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। আমি বিভিন্ন দপ্তরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যকেও বিষয়টি জানিয়েছি। নতুন করে নির্মাণ করতে আমি প্রচেষ্ট চালাচ্ছি।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা আবুল খায়ের মিয়া জানান, সড়কটি উপজেলা ও ইউনিয়ন রোড উন্নয়ন ও শক্তিশালী প্রকল্পে দেয়া হয়েছে। পুরো সড়কটি নতুন করে নির্মাণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।