মণিরামপুরে শিক্ষাবিদ জোবেদ আলীর স্বরনে আলোচনা,দোয়া ও খাদ্য বিতরণ


জেমস রহিম রানা :
যশোর জেলার মনোহরপুরের কৃর্তি সন্তান, আলোর দিশারি, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক ও মানবতার সেবক অধ্যক্ষ বিশ্বাস জোবেদ আলীর স্বরনে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান শুক্রবার সকাল নয়টায় মনোহরপুর কারিগরি ও বিঞ্জান কলেজের শ্রেনী রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মনিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের সমাজ সেবা মুলক সংগঠন মনোহরপুর কল্যান ট্রাষ্টের উদ্যােগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মু, মুরতজা আলী টুটুল। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আক্তার ফারুক মিন্টু, সমাজ সেবক আবু বক্কর সিদ্দিক, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসমত আলী, মনোহরপুর কারিগরি ও বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান, কলেজের সভাপতি খলিলুর রহমান, কারী নজরুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রনব সরকার, আব্দুর রহিম সরদার, মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নাজমুল হক, প্রধান শিক্ষক ইউনুস আলী, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম সরোয়ার, ডাক্তার মোশাররফ হোসেন, প্রভাষক আবু সাঈদ, জি এম শাহিদুজ্জামান, বিজন কুমার বিশ্বাস, ইব্রাহিম আলম।
এসময় তার বর্ণাঢ্য জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন, মনোহরপুর কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম গাউসুল আযম হাদী, ইমাম ওলিয়ার রহমান, ইমাম সিরাজুল ইসলাম, আইয়ূব আলী বাশিয়া প্রমূখ।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, বিশ্বাস
জোবেদ আলী চাকরি জীবন থেকে অবসর নিয়ে বসে থাকেন নি। তার জীবন টা সমাজ সেবায় আত্ননিয়োগ করেন। সাহিত্যাঙ্গনে তার রয়েছে অনবদ্য অবদান। তিনি ছিলেন একজন নন্দিত পুরুষ। তার লেখা গল্প, উপন্যাস প্রকাশিত রয়েছে অনেক। তিনি শুধুমাত্র একজন গল্পকার, প্রবন্ধিক, ঔপান্যাসিক ও শিশু সাহিত্যক নন। তিনি একজন সমাজ সেবক, গরিবের বন্ধু। চাকরির সুবাদে ঢাকায় থেকেও ভেবেছেন তার জন্মস্হানের মানুষের কথা। মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেবার জন্য মনোহরপুর কল্যান ট্রাষ্টা নামক একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। সমাজের দীনদু:খী, আর্তপীড়িত, হতদরিদ্র, মেধাবী ছাত্র/ছাত্রী দের শিক্ষাববৃত্তি প্রদান, বিধবা, অসহায়, এতিম,অসুস্থ ব্যাক্তিদের কে বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান, সেলাই মেশিন প্রদান, বাইসাইকেল প্রদান, নগদ অর্থ প্রদানসহ বিভিন্ন উৎসবের সময় এতিম দের খাদ্য, ব্স্ত্র প্রদান করেছেন। দিয়েছেন শীতার্তদের গরম কাপড়। তাছাড়াও মসজিদ, মাদ্রাসায় তিনি দিয়েছেন অগনিত দান ও শ্রম।
অনুষ্ঠান শেষে ৬০ দুস্থ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।