রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগের প্রতিশ্রুতি বাইডেন ও শোলজের
ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ।


বিবিএস নিউজ ডেস্ক: অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এক কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়াকে অস্ত্র সহায়তা দিলে চীনের উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
Google News গুগল নিউজে বিবিএস নিউজ 24’র খবর পড়তে ফলো করুন
বাইডেন এবং শোলজ গত শুক্রবার (৩ মার্চ) ওয়াশিংটন, ডিসিতে ইউক্রেনের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলারের একটি নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। নতুন এই সামরিক সহায়তা প্যাকেজের আওতায় রয়েছে ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া যান, গোলাবারুদ এবং কৌশলগত সেতু।
ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানির নেতার মধ্যে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ইউক্রেন যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি এবং রাশিয়াকে চীনের সম্ভাব্য অস্ত্র সহায়তা।
গত শুক্রবার ওভাল অফিসে শোলজের পাশে বসে বাইডেন সামরিক ব্যয়কে ব্যাপকভাবে বাড়ানোর জন্য জার্মান নেতার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন।
বাইডেন বলেন, ‘ন্যাটো মিত্র হিসাবে আমরা জোটকে আরও শক্তিশালী করছি।’
শোলজ বলেন, এটি প্রমাণ করা গুরুত্বপূর্ণ যে মিত্ররা কিয়েভের পেছনে যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ আছে।
যদিও চীন রাশিয়াকে অস্ত্র দেওয়ার ইচ্ছা অস্বীকার করেছে, তবুও ওয়াশিংটন সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞাগুলোর বিষয়ে মিত্রদের সাথে পরামর্শ শুরু করেছে।
ওয়াশিংটন সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দাবি করেছে যে, চীন রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করার বিষয়ে বিবেচনা করছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়ের এই দুই নেতার বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এখনও চীনকে কিছু করতে দেখিনি। রাশিয়ার প্রতি চীনের সহযোগী পদক্ষেপ ইউরোপ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে চীনের সম্পর্ককে আরও কঠিন করে তুলবে।’
ইইউর এক প্রবীণ কর্মকর্তা গত শুক্রবার একটি পৃথক ব্রিফিংয়ে বলেন, বেইজিং মস্কোর অস্ত্র দেওয়া একটি নেতিবাচক ঘটনা হবে এবং ইইউ নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে এর প্রতিক্রিয়া জানাবে।
শোলজ গত বৃহস্পতিবার মস্কোকে অস্ত্র না দেওয়ার জন্য চীনের কাছে একটি শক্তিশালী সতর্ক বার্তা প্রেরণ করেছেন। তিনি বেইজিংকে রাশিয়ার বাহিনীকে ফিরিয়ে আনার জন্য চাপ দেওয়ার জন্যও আবেদন জানিয়েছেন।
বাইডেনের সঙ্গে তার বৈঠকের আগে জার্মান সংসদে এক ভাষণে শোলজ বলেন, ‘আগ্রাসী রাশিয়ার কাছে কোনও অস্ত্র সরবরাহ করবে না চীন।