রাস্তার মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে কাজ প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা
রাস্তার মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা


নাসিরনগর প্রতিনিধি,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গুনয়াউক ইউনিয়নের চিতনা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কে রাস্তার মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে উন্নয়ন কাজ ।তাতে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এ অবস্থায় বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলার দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গেছে, প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা ব্যয়ে দুই মাস পূর্বে রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। গুনিয়াউক ইউনিয়নের চিতনা গ্রাম থেকে ফান্দাউক ইউনিয়নের রসুলপুর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। কাজটি পায় হাসান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এর আগে রাস্তা ছোট ছিল। তখন রাস্তার এক পাশে ছিল বৈদ্যুতিক খুঁটি। এখন রাস্তা প্রসস্থ করা হচ্ছে তাই কিছু খুঁটি ভেতরে পড়েছে। নির্মাণ সম্পন্ন করার আগে খুঁটি সড়ানো হবে।
সরেজমিন দেখা যায়, চিতনা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে চিতনা ও চাপরতলা গ্রামের সংযোগকারী একটি ব্রিজের গোড়া থেকে। ব্রিজ থেকে নামতেই রাস্তার মাঝ অংশে একটি বৈদ্যুতিক খঁটি। কিছু দূর যেতেই আরো কয়েকটি খুঁটি রাস্তার মাঝ অংশে দাড়িঁয়ে আছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় রাস্তার ওই অংশ দিয়ে পথচারী ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা খুঁটিগুলো সড়িয়ে নেওয়ার দাবি জানালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
গুনিয়াউক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জিতু মিয়া বলেন রাস্তার মাঝ অংশে বেশকিছু পল্লীবিদ্যুতের খুঁটি রেখে নির্মাণ কাজ চলছে। এটা আমরা বিদ্যুৎ অফিসের উর্ধ্বতনকর্তৃপক্ষকে অবগত করব এবং দ্রুত খুঁটি সড়িয়ে জনদুর্ভোগ কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করব।
এ বিষয়ে নাসিরনগর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জোনাল ম্যানেজার মো. তৌহিদ উল্লাহ খান বলেন, চিতনা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে এমন কোন তথ্য আমাদের জানা নেই। রাস্তা নির্মাণকারী কোন সংস্থা আমাদের এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। পল্লীবিদ্যুতের প্রধান কার্যালয়ে কোন পক্ষ যোগাযোগ করেছে কিনা আমার জানা নেই। তবে বিদ্যুতের খুঁটি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠাকে তাদের নিজ খরচে সড়াতে হবে।
নাসিরনগর উপজেলা প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, রাস্তার মাটির কাজ শেষ হয়েছে। পুরো কাজ শেষ হতে আরো সময় লাগবে। কাজ শেষ হওয়ার পূর্বেই রাস্তায় যে সকল বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়বে সবগুলো সড়িয়ে কার্পেটিং এর কাজ করা হবে।