ঢাকা

লক্ষ্মীপুরে পাষণ্ড পিতার বিক্রি হওয়া সন্তানকে ফিরে পেল মা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর পাষণ্ড পিতার বিক্রয় করা দুই কণ্যা সন্তানের মধ্যে এক জনকে ফিরে পেল মা রেহানা আক্তার। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও সাংবাদিকদের সহযোগীতায় গত সোমবার এই মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। পরে লক্ষ্মীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোছলেহ উদ্দিনের মাধ্যমে উদ্ধার হওয়া মেয়েকে প্রকৃত মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বুধবার (১২ অক্টোবর) অন্য সন্তানটি উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, অপর মেয়ে উদ্ধারে মাঠে আছে আইন শৃঙ্কলা বাহিনী, আশাকরছি খুব শিঘ্রিরই উদ্ধার হবে।

জানাযায়, বিগত ২৯ সেপ্টেম্বর লিটনের (স্ত্রী) রুমি আক্তার ওই শিশু সন্তান, হাসিকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময় একই ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের নোয়া বাড়ীর ফারুক, নুরজাহান, খোরশেদ, নুরুলকরিম কুচক্রি মহলের নিকট থেকে ক্রয় করে। অনেক খোজা-খুজির পর সোমবার ১০ অক্টোবর দুপুরে খিলবাইচা ইলিয়াস হাজি বাড়ীর নুজ্জামানের পুত্র লিটনের ঘর থেকে উদ্ধার করে সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। রেহানা আক্তার উক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে এবং অপর বাচ্চাটি ফিরে পেতে একটি নিখোঁজ ডায়রী করে। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, রেহানা আক্তার সোনাপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের সাথে মুসলিম সরিয়া মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এবং তাদের সংসারে ২টি জমজ সন্তান আসে। বর্তমানে তাদের বয়স প্রায় চার বছর। কিন্তু বিগত তিন মাস পূর্বে রেহানা আক্তার একটি ছোঁয়াছে রোগে আক্রান্ত হয়। ডাক্তারের পরামর্শ ক্রমে সন্তানরা পাশে থাকতে পারবেনা এই সুভাধে স্বামী ফারুক হোসেন ও তার মা নুরজান বেগমের সাথে হাসি, খুশি দুই সন্তানকে রাখা হয়। তিনমাস চিকিৎসার পর রেহানা আক্তার সুস্থ হয়ে বাচ্চাদের জন্য স্বামী ও শাশুড়ির নিকট যায়। কিন্তু তারা তাকে শারিরীক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এক পর্যায়ে রেহানা জানতে পারে হাসি-খুসিকে তাদের পাষণ্ড পিতা ফারুক হোসেন ও দাদী নুরজাহান বেগম উপরোক্তদের মাধ্যমে ওই সন্তানের বিক্রি করে দেয়। তখন মা রেহানা আক্তার চারদিক খোজাখুজি করতে থাকে। বিষয়টি জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা(এনএসআই) লক্ষ্মীপুর শাখার নজরে আসলে তাদের সার্বিক তৎপরতায় হাসিকে পাওয়া যায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button