মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:২৪ অপরাহ্ন
জাহিদ হাসান,বিশেষ প্রতিনিধিঃ বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিরোধীয় জায়গায় স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার লামা সদর ইউনিয়নের পশ্চিম লাইনঝিরির আগায় ঘটনাটি ঘটে। শুধু তায় নয়, স্থাপনা নির্মাণে বাধা প্রদান করায় বাদী পক্ষকে প্রাণ নাশের হুমকিও দেন প্রতিপক্ষ আব্দুর রহিমরা।
এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। অভিযোগে জানা যায়, ২৯৩নং ছাগল খাইয়া মৌজার আর/২৯নং হোল্ডিং মূলে নজির আহমদের ৫ একর তৃতীয় শ্রেণীর জায়গা আছে। ১৯৮২-৮৩ সালে বন্দোবস্তি পাওয়ার পর ওই জায়গায় বিভিন্ন ফলজ বনজ বাগান সৃজন করে ভোগ করে আসছেন। নজির আহমদের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশরা এ জায়গা ভোগ দখলে আছেন। সম্প্রতি জায়গার মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় রুপসীপাড়া ইউনিয়নের হাফেজ পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল লতিফের ছেলে মো. আব্দুর রহিম ও আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের রেপাড়াপাড়ি এলাকার বাসিন্দা বশির আহমদের ছেলে মো. ইয়াছিনের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। তারা এ জায়গা জবর দখলে নিতে বিভিন্ন ভাবে অপচেষ্টা চালায়। এ ধারাবাহিকতায় গত ২৯ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আব্দুর রহিম ও মো. ইয়াছিনের নেতৃত্বে আরও ১৫-২০ জন সংঘবদ্ধ হয়ে নজির আহমদের জায়গা ঘর নির্মাণ করেন।https://bbsnews24.com
পরে এ স্থাপনার নাম দেয়া হয় মিরিঞ্জা রিসোর্ট। রিসোর্টের কটেজে পর্যটকদের রাত্রী যাপনের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়। রাত দিন মদ, ইয়াবা ও গাঁজা বেচাকেনা হয় সেখানে। খবর পেয়ে নজির আহমদের ওয়ারিশরা এসবের বাধা প্রদান করলে আব্দুর রহিম ও ইয়াছিনরা প্রাণ নাশ সহ মিথ্যা মামলায় জড়িতে হয়রানির হুমকি দেন।
পাশাপাশি পরবর্তীতে এ ঘটনায় নজির আহমদের ছেলে ভুক্তভোগী আবুল হাশেম (৭৭) বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি ফৌজদারী অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত ১৪৫ ধারা মতে স্থিতিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন। আদেশ মতে, শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বিরোধীয় জায়গায় কোন ধরনের কাজ না করতে উভয় পক্ষকে নোটিশের মাধ্যমে নিষেধ করেন পুলিশ। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আব্দুর রহিম ও মো. ইয়াছিনরা স্থাপনা নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখেন বলে জানান আবুল হাশেমরা।
অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আব্দুর রহিম বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি। মদ গাজা আর ইয়াবা বিক্রির অভিযোগ মোটেও সত্য নয়। এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. নুরুজ্জামান বলেন, আদালতের নির্দেশনা মতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে উভয় পক্ষকে বিরোধীয় জায়গায় কাজ না করতে দুইবার নিষেধ করা হয়েছে। এরপরও আব্দুর রহিমরা কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।