লামায় গৃহবধুর বিষপানে আত্মহত্যার ঘটনায় স্বামী পলাতক


জাহিদ হাসান,বান্দরবান প্রতিনিধি।।।
হাতে মেহেদীর লাল রঙ শুকানোর আগেই বিষপানে আত্মহত্যা করলেন মর্জিনা বেগম নামের এক গৃহবধু। ঘটনাটি লামা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড সাবেক বিলছড়ি গ্রামের। শুক্রুবার দুপুরে নিজ ঘরে বিষপান করে মর্জিনা বেগম (২০)।
তাৎক্ষনিক স্বামী নাঈম হোসেন প্রতিবেশিদের জানান দেন, তার স্ত্রী ঘরের ভেতর দরজা বন্ধ করে বিষ পান করেছে। জোহুরা বেগম জানান, “আমরা তার ঘরের সামনে গিয়ে নাঈম হোসেনের মূখে শুনি ঘরের মধ্যে তার স্ত্রী বিষপান করেছে। এর পর নাঈম হোসেন দরজার উপর একটি কাঠের তক্তা সরিয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে প্রথমে দরজা খোলে দেয়।
এর পর বিষের বোতলের প্যাকেট ও বোতল হাতে নিয়ে একেক করে দেখান।” এর পর তাকে প্রথমে লামা হসপিটালে পরে কক্সবাজার হসপিটালে নেয়া হয়। সেখানে ১১ নভেম্বর সন্ধায় ডাক্তার মর্জিনাকে মৃত ঘোষনা করেন।
নিহত মর্জিনা বেগমের বোন জেসমিন আক্তার জানান, তার বোনের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। জেসমিন আক্তার জানায়, আমার বোনকে বিয়ের তিন মাসের মধ্যে যৌতুকের জন্য কয়েক দফা মারধর করেছে তার স্বামী নাঈম। নিহতের মা আজিদা বেগম জানায়, বিয়ের তিন দিনের মাথায় তার মেয়ে জরিনাকে বেদম প্রহার করে।
তা ছাড়া নাঈমের মা, বোনও মর্জিনার উপর প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন চালাতেন। নিহতের বাবা আঃ রশীদ কান্না করে জানান, তিন দিন আগেও মর্জিনা তার স্বামীর যৌতুকের দাবি মিটানোর জন্য আমার কাছে বিশ হাজার টাকা চেয়েছিল। কাল দুপুরে মেয়েটিকে বিষ দিয়ে মারার চেষ্টা করে। আজ শুনলাম আমার মেয়ে কক্সবাজার মেডিকেলে মারা যায়।
জানাগেছে, প্রায় তিনমাস আগে মর্জিনার সাথে ৫ নং ওয়ার্ডের কুরালিয়া টেকের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের ছেলে নাঈমের সাথে বিয়ে হয়েছিল। স্থানীয়রা জানান, “বিগত ২০/২১দিন ধরে মর্জিনা মায়ের বাড়িতে রয়েছে। বিষপানের আগের দিন নাঈমও মর্জিনার মায়ের বাড়ি আসে।
তাদের মধ্যে প্রায় ঝগড়াঝাঁটি হতো।” এদিকে হসপিটালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়েছে স্বামী নাঈম। ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। লামা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, “এ ব্যপারে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে লোকমুখে এমন সংবাদ পেয়েছি”।