লামায় জাতীয় ৫ম ভোটার দিবস পালিত হয়েছে
বান্দরবানের লামায় ভোটার দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘‘ভোটার হব নিয়ম মেনে ,ভোট দিব যোগ্যজনে‘‘। এই স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে শোভাযাত্রার পর উপজেলা হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভোটার দিবসে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন, উপজেলা নির্বাচন, রেজিষ্ট্রেশন অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। লামা উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৮০ হাজার ৭৭ জন।


জাহিদ হাসান, বান্দরবান প্রতিনিধি: মহিলা ৩৮৪৯৯, পুরুষ ৪১৫৭৮ জন। এর মধ্যে লামা পৌর সভায় মোট ১৪ হাজার ৭ শত ৯৭, মহিলা ৭ হাজার ৮১, পুরুষ ৭ হাজার ৭ শত ১৬ জন। লামা সদর ইউনিয়নে মোট ভোটার ৬ হাজার ৩ শত ৮ জন, মহিলা ৩ হাজার ১ শত ১৩ জন, পুরুষ ৩ হাজার ১ শত ৯৫ জন।
গজালিয়া ইউনিয়ন মোট ভোটার ৮ হাজার ১ শত ১৫ জন, মহিলা ৪ হাজার ৫জন, পুরুষ ৪ হাজার ১ শত ১০ জন। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন মোট ভোটার ১৭ হাজার ৮ শত ৯৫ জন, মহিলা ৮ হাজার ৪ শত ৫৫ জন, পুরুষ ৯ হাজার ৪ শত ৪০ জন।
ফাইতং ইউনিয় মোট ৮ হাজার ৯ শত ৬২ জন, মহিলা ৪ হাজার ২ শত ১৩ জন, পুরুষ ৪ হাজার ৭ শত ৪৯ জন। সরই ইউনিয়নে ভোটার ৭ হাজার ৬ শত ৪৩ জন, মহিলা ৩ হাজার ৬ শত ৬৩ জন, পুরুষ ৪ হাজার ৭ জন। আজিজনগর মোট ভোটার ৭ হাজার ৮ শত ৭৪ জন, পুরুষ ৪ হাজার ১ শত ৩২ জন।
রুপসিপাড়া ভোটের সংখ্যা ৮ হাজার ৪ শত ৮৩ জন, মহিলা ৪ হাজার ২ শত ৫৪ জন, পুরুষ ৪ হাজার ২ শত ৫৪ জন।লামা উপজেলায় এবার নতুন ভোটার হয়েছে ৮ হাজার ২ শত ১৬ জন । পূর্বে ছিল এ সংখ্যা ছিল ৭১৮৬১।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহৎ সংখ্যক ভোটার যাতে অবাধ,সুষ্ঠু,সুন্দরভাবে ভোট দিতে পারে সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ হতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন সর্বপ্রথম আইনের মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দেশে একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন । ভোটারের দৃষ্টিভঙ্গিতে যোগ্য প্রার্থীকে যাতে ভোটারগণ সুষ্ঠ পরিবেশে ভোট প্রদান করতে পারে ।
যিনি নির্বাচিত হবেন তিনি তার আসনের লোকদের জন্য উন্নয়ন বাস্তবায়ন করবেন। সুখে-দু:খে জনগণের পাশে থাকবেন। নিজ- নিজ আসনের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশও এগিয়ে যাবে এরূপ ব্যক্তিই ভোটারের দৃষ্টিতে যোগ্য জন। পাঁচ বছরে একবারের জন্য হলেও সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার এসে ভোটারদের সময় দিবেন । ভোটারগণ তাঁদের চাওয়া পাওয়ার বিষয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কাছে বলবেন।
এরুপ একজন জনপ্রতিনিধি ভোটারদের কাছে নির্বাচনে যোগ্য জন । এর ব্যতিক্রম হলেই পাঁচ বছর পরে ভোটারগণ গোপন কক্ষে নিজেদের সিদ্ধান্তের প্রতিফলন প্রয়োগ করতে ভুল করেনা । এরুপ যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচিত করতে নির্বাচন কমিশনের নিকট সুষ্ঠু,সুন্দর,অবাধ ও নিরপেক্ষ পরিবেশ প্রত্যাশা করে সবাই ।অন্যদিকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চোখে প্রার্থীর যোগ্যতা এবং অযোগ্যতা বাছাই এর চিত্র ভিন্ন । যেমনটা উল্লেখ আছে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে ।(১)কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হইলে এবং তাহার বয়স পঁচিশ বৎসর পূর্ণ হইলে এই অনুচ্ছেদের (২)দফায় বর্ণিত বিধান- সাপেক্ষে তিনি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং সংসদ সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন।
আবার অযোগ্য প্রার্থীর ব্যাপারেও সংবিাধানের একই অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে ।
(২)কোন ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইবার সংসদ-সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন না,যদি
(ক)কোন উপযুক্ত আদালত তাঁহাকে অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষণা করেন ;(খ)তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন ;
(গ)তিনি কোন বিদেশী রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোন বিদেশী রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন ;(ঘ)তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যুন দুই বতসরে কারাদন্ডে দন্ডিত হন এবং তাঁহার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বৎরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মোস্তফা জাবেদ কায়সার, পৌর মেয়র মো: জহিরুল ইসলাম, তথ্য যোগাযোগ সহকারী প্রোগ্রামার সুব্রত দাশ, কাউন্সিলর মো: রফিক, রিপোর্টার মো: ফরিদ প্রমূখ। শেষে তিনজন ভোটারকে স্মার্ট কার্ড প্রদান করেন নির্বাচন অফিসার।