জেলার খবর

লামা-আলীকদমে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা, খতনা ও কান-নাক ফোটানো হয়েছে

এম জাহিদ হাসান,বান্দরবান প্রতিনিধি।।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আলীকদম জোনের সার্বিক সহযোগিতায় লায়ন্স ক্লাব জেলা-৩১৫ বি-৪ এর উদ্যােগে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।৫ নভেম্বর দিন ব্যাপী লামা-আলীকদম সীমান্ত গ্রাম শীবাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৬ শ্ জন নারী পুরুষকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা দেয়া হয়। ৩৫ শিশুকে খতনা ও ১ শ্ কণ্যা শিশুকে কান, নাক পুড়ানো হয়। মূল আয়োজনে ছিলেন, শীবাতলী পাবলিক ডোনার সংগঠন। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিলেন পিসিএনপি লামা। চট্টগ্রাম লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগং খুলশী, লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগং গোল্ডেনসিটি, লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগং গ্রীন সিটি, লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগং মুনলাইট, লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগং মিরসরাই এই মানবিক কাজটি করেছেন। এ সময় ২টি সেলাই মেশিন, বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ২টি এতিমখানার ছাত্রদের রেশন হিসেবে ৬ শ কেজি চাল, পেঁয়াজ, রশুন তেল বিতরণ করা হয়। বেলা ১১টায় আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনায়, প্রধান অতিথি আলীকদম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, প্রান্তিক মানুষের সেবা-উন্নয়নে লায়ন্স ক্লাবগুলোর এই মহতি প্রয়াস অব্যাহত থাকুক। ডোনার সদস্য রিপোর্টার মোঃকামরুজ্জামান এর সঞ্চালনায় সেবা প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে লায়ন্স জেলা- ৩১৫ বি-৪ বাংলাদেশের সম্মানিত জেলা গভর্নর শেখ শামসুউদ্দিন আহমেদ ছিদ্দিকী পি.এম.জে.এফ বলেন আমরা দু:স্থ মানুষের পাশে ছিলাম আছি থাকবো। ১ম ভাইস জেলা গভর্নর লায়ন এম. ডি. এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এমজেএফ বলেন, চিকিৎসা, বস্ত্র, জরুরী খাদ্য সহায়তা ছাড়াও লায়ন্স ক্লাব নারীদের কর্মোদ্যমি করতে সেলাই মেশিন দিচ্ছেন। এর ফলে নারীদের কর্মের হাত অর্থনীতির হাতিয়ার হিসেবে রুপ নিবে। এক মন্তব্যে পাবলিক ডোনার সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আন্তর্জাতিক শুটার, ১ম কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত আতিকুর রহমান বলেন, লায়ন্স ক্লাব এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আমাদের প্রত্যাশা থাকবে। লায়ন্স জেলা- ৩১৫ বি-৪ বাংলাদেশের সম্মানিত জেলা গভর্নর শেখ শামসুউদ্দিন আহমেদ ছিদ্দিকী পি.এম.জে.এফ ও ১ম ভাইস জেলা গভর্নর লায়ন এম. ডি. এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এমজেএফ এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন
ডোনার উদ্যাক্তা সাইফুদ্দীন জালালী। প্রসঙ্গতঃ পাবলিক ডোনার ও লায়ন্স ক্লাবের উদ্যােগে আলীকদম শীবাতলী, রেপাড়পাড়া এলাকায় ওয়াটার স্যানিটেশন, বস্ত্র, খাদ্য, সেলাই মেশিন, স্কুলের ছাত্রদের পোষাক, স্কুল বেগ, খাতা-কলম, বৈদ্যতিক সরঞ্জামসহ বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে আসছে। ২০০৮ সাল থেকে গ্রামের বাসিন্দা মাসিনু মার্মা, মোঃ খলিলুর রহমান এ সব আয়োজনে স্থানীয়ভাবে সহযোগিতা করছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button