লামা বন বিভাগের আজিজনগর বন রেঞ্জ অফিস যেন টাকশাল


জাহিদ হাসান,বান্দরবান প্রতিনিধিঃ গাছ লাগায় পাবলিকে মজা নেন বন রক্ষকেরা। ডুলছড়ি রেঞ্জ আজিজনগরে রাতের আঁধারে তেরপাল বেঁধে যাচ্ছে বনের কাঠ। এই অভিনবত্বের হেতু কি(?)। এসব কাঠ সরকারি রিজার্ভ এর, না কি পাবলিক অর্থাৎ ব্যক্তিগত জোতের। যদি জোতের হয়, তা হলে পারমিট অনুবলে ট্রানজিট হওয়ার বিধি অনুস্মরণ করে দিনের আলোতে নেয়ার নিয়ম এখনো বদলায়নি। জানাগেছে, সেখানে বন রেঞ্জ পরিক্ষণ ফাঁড়িতে থাকা বন রক্ষকরা দিনের বেলা টাকা নেয়। কিন্তু কাঠের গাড়ি ছাড়ে গভীর রাতে। স্থানীয়রা জানান, নিজের বাগানে সৃজিত গাছ কেটে ব্রিক ফিল্ডে লাকড়ি বিক্রি করতে দেয় না বন রক্ষকেরা। তবে টাকা দিলে অনুমতি মিলে, শর্ত থাকে গভীর রাতে তেরপাল জড়িয়ে নিতে হবে। সেখানকার রেঞ্জ অফিসে কর্মরতরা প্রতি রাতে কাঠের গাড়ি ছেড়ে দুই লাখ টাকা পকেটে ভরে বলে জানাগেছে। সেই রেঞ্জ অফিসের কর্তা বাবু এমন মৌসুমে মাসে ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় কাঠ ব্যসায়ীদের থেকে। ট্রানজিট পাস ছাড়া রাতের আঁধারে কাঠ পরিবহনের ব্যপারটি গোপন রাখার জন্য খরছ হয় মাসে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, গাছ লাগায় পাবলিকে মজা নেন বন রক্ষকেরা। কি অদ্ভুত এক সমিকরন(!)। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী বাসিন্দা জানান, “কোনো ব্যক্তি ১০,১৫,২০,৩০ বছরের সাধনার ফসল একটি গাছ প্রয়োজনে কেটে নিজের ইচ্ছায় বিক্রি বা পরিবহন করতে পারেন না। অপরদিকে বন রক্ষাকারী মহল তাদের কষ্টের ফসল থেকে সুফলটা ঠিকই নিচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, কর্তাবাবু তার উপরের কর্তা বাবুর সাথে রয়েছে খয়েরখাঁ সম্পর্ক।” সব মিলিয়ে বনের প্রকৃত মালিকরা অসহায়। সুবিধা নিচ্ছে সরকারের বন রক্ষাকারী ও কতিপয় বনের কাঠ ব্যবসায়ীরা।