খুলনা

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোলে পাসপোর্ট যাত্রীর ঢল

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২০ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৫ দিন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি: হিন্দু সম্প্রদায়ের পাসপোর্ট যাত্রীরা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ভ্রমনে অতি উৎসাহী হয়ে ভীড় জমাচ্ছেন বেনাপোল চেকপোষ্টে। সেই সাথে রয়েছে চিকিৎসা,ব্যবসা এবং ভ্রমণ পিপাসু আসা-যাওয়া পাসপোর্ট যাত্রীদের চাপ,সব মিলিয়ে বেনাপোল চেকপোষ্টে বেড়েছে পাসপোর্ট যাত্রীর সংখ্যা।

এদিকে, যাত্রীদের ভ্রমণ কর এবং প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল চার্জ বাড়লেও কোনো ধরনের সেবার মান বাড়েনি। তবে বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে সেবা বাড়াতে জায়গা অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান।

ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ১৮ অক্টোবর বুধবার থেকে শুক্রবার ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ৩দিনে ১৯ হাজার ৬শত ২৭ জন পাসপোর্ট যাত্রী ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করেছে।

এর মধ্যে ১৮ অক্টোবর ভারতে যাতায়াত করেছে ৫ হাজার ৬শত ৪৮ জন, ১৯ অক্টোবর ৬ হাজার ৫শত ৮৯ জন, ২০ অক্টোবর ৭ হাজার ৩ শত ৯০ জন। আজ ২৩ অক্টোবর সোমবার বেনাপোল চেকপোষ্ট ঘুরে দেখা গেছে প্রচুর সমাগম ঘটেছে পাসপোর্ট যাত্রীর।

এ বিষয়ে পাসপোর্ট যাত্রীরা বলেন, গত কয়েক বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন বিধিনিষেধ থাকায় পাসপোর্ট যাত্রীরা ইচ্ছেমতো ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পারেনি। তবে এখন এসব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় ভারত ভ্রমণে আর কোনো বাধা নেই। এবার পূজায় লম্বা ছুটি পেয়ে পরিবার নিয়ে পূজা উপভোগ করতে দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ, চিকিৎসা ও ব্যবসায়িক কাজে ছুটছেন ভারতে। বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানের উদ্দেশ্যে ভারত থেকেও অনেকে আসছেন বাংলাদেশে।

বর্তমানে ভারত ভ্রমণে বাংলাদেশ সরকারকে প্রত্যেক শিশুর জন্য ৫৫৫ টাকা ও বড়দের ১০৫৫ টাকা ভ্রমণ কর ও টার্মিনাল চার্জ এবং ভারত সরকারকে ভিসা ফি বাবদ ৮৪০ টাকা দিলেও সুবিধা বাড়েনি। এই অবস্থায় সেবা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, “স্বাভাবিক সময়ে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচ থেকে সাত হাজার মানুষ পাসপোর্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাতায়াত করে। ঈদ ও পূজার সময়ে এই সংখ্যা দ্বিগুণ ছাড়িয়ে যায়। যাত্রীদের ইমিগ্রেশনে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করতে দীর্ঘ সময় লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। যাত্রীরা যাতে ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার না হয় এই বিষয়ে আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। পাসপোর্ট যাত্রীদেরকে ভ্রমনে সহায়তা করে চলেছি।

বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, সেবা বাড়াতে জায়গা অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলছে। তিনি আরও বলেন, সামনে এমন সময় আসছে, যখন কারোর কোনো অভিযোগ থাকবে না। সময়ের ব্যাপার মাত্র।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button