ক্রিকেটখেলাধুলা

শেষ ম্যাচের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ

সব টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও বাংলাদেশ কখনও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিততে পারেনি। এবার মাঠে নামার আগে কোচ, অধিনায়ক, বোর্ড কর্তাদের আত্মবিশ্বাস ছিল সেই আক্ষেপ ঘুচানোর। কিন্তু নিজেদের চেনা কন্ডিশনে যেন তামিম ইকবালের দল হয়ে উঠলো সফরকারী দল।

বিবিএস নিউজ ডেস্ক: মিরপুরে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ইতিমধ্যে সিরিজ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। সোমবার চট্টগ্রামে সিরিজের শেষ ম্যাচটি জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে চায় স্বাগতিকরা। সবমিলিয়ে শেষ ম্যাচের চ্যালেঞ্জ নিতে বাংলাদেশ প্রস্তুত বলে স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ জানালেন।

মিরপুরের প্রথম দুই ম্যাচেই ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ২০৯ রান করেও দারুণ লড়াই করেছিল তামিমরা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ। সোমবার শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ কি পারবে ঘুরে দাঁড়াতে? এমন প্রশ্নে লঙ্কান কোচ হেরাথ বলেছেন, ‘পরাজিত দলে থাকাটা সহজ কিছু নয়। তবে এটা খেলারই অংশ। আমাদের শক্তিশালী হয়ে ফিরতে হবে। আমরা এই চ্যালেঞ্জটা নিতে, শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো করার জন্য মুখিয়ে আছি।’

জিততে হলে কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে দলকে, সেটা জানান হেরাথ, ‘বিশেষ করে আমার মনে হয়েছে, প্রতিপক্ষ ব্যাটাররা যখন ভালো খেলতে শুরু করবে, আমাদের একটা পথ খুঁজে বের করতে হবে। কখনও আপনাকে আক্রমণে যাওয়া উচিত হবে না, রক্ষণাত্মক খেলতে হবে। কখনও কখনও রক্ষণাত্মক কৌশলটাই হবে আক্রমণের। তো এই বিষয়গুলো আত্মস্থ করতে হবে আমাদের।’

ইংল্যান্ড সিরিজ হারলেও বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য হলেও শেষ ওয়ানডে জেতা উচিত বলে মনে করেন তিনি, ‘আমরা ইংল্যান্ডের কাছে দুটো ম্যাচে হেরেছি। তবে অনেক ক্রিকেট আসছে আমাদের সামনে, আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ… এরপর বিশ্বকাপ। তো এই ম্যাচে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে হলেও আমাদের সেরাটা দিতে হবে। ’

মিরপুরের চেয়ে চট্টগ্রামের উইকেটের ভিন্নতা আছে। মিরপুরে স্পিনারদের বাড়তি সুবিধা থাকলেও চট্টগ্রামে কিছুটা কম। তবে স্পোর্টিং উইকেট নিয়েও চিন্তার জায়গা আছে বাংলাদেশের। কেননা ভারতের বিপক্ষে জহুর আহমেদের উইকেটে ৪০৯ রান হজম করতে হয়েছিল। ভারতের করা রান পাহাড়ে উঠতে গিয়ে বাংলাদেশ ১৮২ রানে অলআউট হয়।

বাংলাদেশের স্পিন কোচ অবশ্য এমন উইকেট আশা করছেন না, ‘সবশেষ সিরিজের উইকেটটা থেকে এটা আলাদা হবে বলে মনে হচ্ছে। স্পিনাররা সাধারণত মিরপুরে বেশি সাহায্য পায়, এখানকার তুলনায়। এখানেও কিছু পাওয়া যেতে পারে, কিন্তু মিরপুরেই স্পিনাররা বেশি সাহায্য পায়। ভারত সিরিজের মতো তেমন কিছু হবে না আশা করি। আমরাও আমাদের দলের সেরা পারফর‌ম্যান্সটা পেতে পরিশ্রম করছি।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button