

বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি: বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় কলসকাঠী ইউনিয়নের সাব পোস্ট অফিসের কার্যক্রম চলছে সড়কের ফুটপাতে টিনের এক চালের জরাজীর্ণ ঝুপড়ি ঘরে। ঘরটির অধিকাংশ বেড়া পুরাতন মরিচা পরা টিন দিয়ে জোড়া তালি দেওয়া।
কাঠের একটি দরজা আছে, নেই তালা লাগানোর ব্যবস্থা। ঘরের মধ্যে সোজা হয়ে দাঁড়ানো যায়না। ভেতরে দুটি চেয়ার একটি টেবিল আছে, একটি চেয়ারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ছবি রাখা হয়েছে, তাও রশি দিয়ে বেঁধে রাখা। ঘরের বাহিরে ও মেঝেতে বিভিন্ন ধরনের ময়লার স্তূপ, অতি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র রাখার কোনো ব্যবস্থায় নেই ঘরটিতে।
বরিশাল জেলার বৃহত্তম বন্দর কলসকাঠী বাণিজ্যিক এলাকায় স্বাধীনতার পরে একটি একতলা ভবনে কার্যক্রম শুরু হয় এই পোস্ট অফিসের। প্রায় এক যুগ আগে ভবনটি পরিতক্ত হয়ে গেলে নিরুপায় হয়ে সড়কের পাশে ফুটপাতে একটি জরাজীর্ণ ঝুপড়িতে বছর পর বছর ধরে কার্যক্রম চলে আসছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘরের মধ্যে একটি মাত্র টেবিলের পাশে চেয়ারে বসে কাজ করছেন সাব পোস্ট মাষ্টার মো. আবুল কালাম
সেবা নিতে আসা দুই বৃদ্ধা দাঁড়িয়ে রয়েছেন টেবিলের পাশে। অপর একটি চেয়ারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি রাখা হয়েছে। অফিস কক্ষে একটিমাত্র আলমারি রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বস্তা ভরে রাখা হয়েছে। কলসকাঠী অর্ধশত ইট ভাটা থাকায় এই পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রতি মাসে কোটি টাকা লেনদেন হয়ে থাকে।
গন সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা হয়, সাব পোস্ট মাস্টার মো. আবুল কালাম সাথে তিনি বলেন, এফডি, এসবির টাকা লেনদেনসহ গ্রাহকদের সঞ্চয় পত্রের মুনফা প্রদান। মানি অর্ডারের টাকা বিতরণ করতে গিয়ে এই অফিসের চরম ঝুঁকিতে থাকতে হয়। নিজেদের বসার জায়গা নেই গ্রাহকদের দাঁড় করিয়ে রেখে সেবা প্রদান করতে হয়। আরো জানা যায়, সুশান্ত হালদার পোস্টম্যানের দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি দুইজন রানার রয়েছে। নাইট গার্ড রয়েছে একজন।
কলসকাঠী সাব পোস্ট অফিসের দায়িত্বে থাকা পোস্ট ম্যান সুশান্ত হালদার জানান, বছরের পর বছর ধরে পুরানো এই ঘরটিতে আমরা কাজ করে আসছি। এখন ঘরটি অনেকটা জরাজীর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ কোনো নথীপত্র এই ঘরে রাখা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। একটি দরজার ও একটি জানালা তাও নড়বড়ে হয়ে ভেঙে গেছে। তাই পোস্ট অফিসের অনেক গুরুত্ব পূর্ণ নথী আমরা বাড়িতে নিয়ে রাখি। এই অফিসে আমরা এখন কাজ করতে চরম দুর্ভোগে আছি। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।