সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার কাজ চলছে
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে।


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: ইতোমধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে।
রোববার সকালে এ উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এর আগে শনিবার (৪ মার্চ) রাত ৯টার পর প্রথম দিনের উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
জানা গেছে, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকার সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জন নিহত ও প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। তবে আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটিতে পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধি ও বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রতিনিধিকে সদস্য করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, বিস্ফোরণের পর সৃষ্ট হওয়া আগুন এক ঘণ্টা ১০ মিনিটের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বিকট শব্দে বিস্ফোরণে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। এতে পাশে থাকা বিভিন্ন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারখানার মালিকপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। উদ্ধার অভিযানে মালিকপক্ষের কেউ সহায়তা করেনি।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (ডিডি) মো. আব্দুল হালিম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কারখানাটিতে অক্সিজেন উৎপাদন করা হয় এবং সিলিন্ডার রিফিল করা হয়। দুটি কারণে বিস্ফোরণ হতে পারে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে যান্ত্রিক ত্রুটি। ব্যবস্থাপনার কারণেও দুর্ঘটনা হতে পারে। তদন্ত শেষে স্পষ্ট করে বলা যাবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের জুনেসীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিষ্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ যায় অর্ধশতাধিক মানুষের।