হাইকোর্টের নির্দেশের পর ইবির হল প্রভোস্টকে প্রত্যাহার
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা হাইকোর্ট থেকে যে বার্তা পেয়েছি সেই অনুযায়ী ওই হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করেছি এবং হলের সিনিয়র হাউজ টিউটরকে সাময়িকভাবে হল চালানোর জন্য বলা হয়েছে।


ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলমের দায়িত্বে অবহেলার ঘটনায় তাকে সরানোর আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
বুধবার (১ মার্চ) উচ্চ আদালতের এক আদেশে এই নির্দেশ দেন। তাৎক্ষণিক এই বার্তা পেয়ে তাকে প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা হাইকোর্ট থেকে যে বার্তা পেয়েছি সেই অনুযায়ী ওই হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করেছি এবং হলের সিনিয়র হাউজ টিউটরকে সাময়িকভাবে হল চালানোর জন্য বলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বিষয়ে তিনি, আমরা তার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সবাইকে জানিয়েছি। হলে সিটের বিষয়ে আমি আজই ছাত্র উপদেষ্টাকে ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে রাতভর র্যাগিং, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ ওঠে। এতে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ছাত্রলীগ কর্মী তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, ইসরাত জাহান মিম ও হালিমা খাতুন উর্মি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগী।
পরে লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই দিন পৃথকভাবে শেখ হাসিনা হল ও শাখা ছাত্রলীগ তদন্ত কমিটি গঠন করে।
পরে সব তদন্তে অভিযুক্তদের নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হয়। হলের করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। আজ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।