আল আমিন,চট্রগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
গ্রামের পুকুর, বিল কিংবা জলাশয়ে দেখা যায় শাপলা। তবে নগরে এর দেখা মেলে কালেভদ্রে।বিশ্বে প্রায় ৮০ ধরণের শাপলা আছে। তবে আমাদের দেশে সাধারণত চাষ করা হয় সাদা ও লাল শাপলা।শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, সবজি হিসেবেও বেশ কদর রয়েছে শাপলার। এ চাহিদার জন্যই অনেক স্থানে এটি বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে।বাণিজ্যিক এ নগরে এমন এক চাষি রয়েছেন যিনি গত একদশক ধরে চাষ করছেন শাপলা। তাঁর নাম মো. সিরাজ। থাকেন সাগরিকার জেলেপাড়ায়। বাকি গল্পটা শোনা যাক সিরাজের মুখে।
বিক্রির জন্য শাপলা সংগ্রহ করছেন সিরাজ শাপলাচাষি সিরাজ বলেন, প্রথমদিকে স্বল্প পরিসরে শাপলার চাষ শুরু করেছিলাম। বাজারে চাহিদা থাকায় এখন দুটি বিল বর্গা নিয়ে চাষ করি।
বৈশাখ থেকে মাঘ মাস শাপলাচাষের মৌসুম উল্লেখ করে তিনি বলেন, শাপলাচাষে খুব বেশি খরচ নেই। প্রতি আঁটি শাপলা বিক্রি করে পাওয়া যায় ২০ টাকা। আবার অনেকে আসেন পাইকারি দামে শাপলা কিনতে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রণোদনা ও প্রচার পেলে নানা পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ শাপলা সবজি হিসেবে আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। এতে পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি জলাশয়-বিলে শোভা পাবে জাতীয় ফুল শাপলা।