মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের চরাঞ্চলের চরকেওয়ার ইউনিয়নের ছোট মোল্লাকান্দি ও খাসকান্দিতে গ্রামে দফায় দফায় ককটেল হামলা ও বাড়ী ঘর ভাংচুর করা হয়েছে। বুধবার রাতে এবং বৃহস্পতিবার ভোরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গ্রামবাসীরা পুলিশকে রাতে ফোন করেও কোন সহযোগিতা পায়নি বলেও অভিযোগ করেন।
স্থানীয়রা জানায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার ভোরে ছাট মোল্লাকান্দি ও খাসকান্দি গ্রামে ককটেল হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়। বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার ভোরে আহাম্মদ হালদার, মিনার হোসেন, মজিবর বেপারী, , জামাত নেতা গিয়াসউদ্দিন বেপারী,নজরুল হালদার,রমজান বেপারী, নাছির বেপারী,মিন্টু চোকদার, শাহজালাল,কাউছার গং বাহিনী।
অন্যদিকে ছোট মোল্লাকান্দি গ্রামের সৈয়দ খাঁন, রুবেল খাঁন, ফিরোজ খাঁন, মাহমুদ খাঁন বাহিনীও এই হামলায় অংশ গ্রহন করে। গভীর রাত থেকে মুহুমুহু ককটেল বিস্ফোরনে আতংকিত হয়ে পড়ে দুটি গ্রামের শত শত নীরহ মানুষ। ককটেল হামলায় খাসকান্দি গ্রামের আফজাল ফকির(৩৫). সুজন(২৬). জসিম(৫০) ছোট মোল্লাকান্দি গ্রামের বাবু মোল্লা (৩৩).জুবায়ের হোসেন (১৮). কাউসার (১৯). আল-আমিন(২২). বাধন(১৯)সহ ১০ জন আহত হয়। ভাংচুর চালানো হয় কমপক্ষে ১০ টি বাড়ীতে। আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহত আফজাল ফকির জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে আহাম্মদ আর মিনার গংরা এই হামলার ঘটনা ঘটায়। তারা অর্তকিত হামলা চালিয়ে আমাদের বাড়ীঘরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এসময় ককটেলের স্পিলিন্ডারে আমাদের গ্রামের অনেকে আহত হয়েছে। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে স্পিন্টার এবং তাজা ককটেল । আমরা করোনার চেয়ে এখন ককটেল আতংকেকে বেশী ভয় পাচ্ছি।
তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে প্রতিপক্ষ আহাম্মদ হালদার জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে আমাদের উপর হামলা করে আমাদের গ্রাম থেকে বের করে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমাদেরও লোক আহত হয়েছে। তারা হলো ছোট মোল্লাকান্দির চুন্নু খাঁন (৬০),রিমি (১২),মরিয়মসহ ৪জন ।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) আনিচুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। এ ঘটনায় এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।#