জসিম উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ করাল গ্রাসে থমকে যাওয়া দেশ ও দেশের মানুষ যখন লকডাউনে গৃহবন্দী।
ঠিক সেই মুহুর্ত থেকে নিম্ন আয়ের মানুষ, ভবঘুরে পাগল, প্রতিবন্ধি ও রাস্তার ভিক্ষুক সহ বেওয়ারিশ পশুদের মাঝে নিঃস্বার্থ ভাবে এক বেলা খাবার বিতরণ করে চলেছেন যশোরের শার্শা উপজেলার তরুণ সমাজ সেবক দেশ সেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমান মিজান।
ইতোমধ্যে যে পরিচিতি লাভ করেছে মানবতার ফেরিওয়ালা ও খবারের ফেরিওয়ালা হিসাবে।
তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিদিন খাবার ও মাক্স বিতরণের অংশ হিসাবে শনিবার বিকালে নাভারণ বাজারে ৪৫ জন নিম্ন আয়ের ভ্যান চালক, প্রতিবন্ধি ও পাগলের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। এদিন মিজানকে আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করেন (অনল দ্রোহী) নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের সকল নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তরুণ সমাজসেবক আসাদুজ্জামান (সাইদ) ও চ্যানেল এস টেলিভিশনের বেনাপোল প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন।
ধারাবাহিক ভাবে সহযোগিতায় ছিলেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভুমি) খোরশেদ আলম চৌধুরী।
উদ্ভাবক মিজান বলেন, “অনল দ্রোহী” একটি সামাজিক সংগঠন, যা ফেসবুক নেটওয়াকিং এর মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে, যার স্থায়ী নিবাস নড়াইল জেলাতে।
তিনি আরো জানান, প্রথম অবস্থাতে করোনা সচেতনতায় লিফলেট বিতরণ, মাক্স, হ্যান্ড সেনিটাইজার এবং সাবান বিতরণের সময় দেখেছি খাবারের জন্য কতটা অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষ।
পাশাপাশি অভুক্ত দেখেছি রাস্তার পাগল, ভিক্ষুক ও বেওয়ারিশ কুকুর এবং পশুপাখি গুলো। তখন থেকে আমার ভিতরে ঘুমিয়ে থাকা বিবেক জাগ্রত হয়ে ওঠে। আমি ঘরে থাকতে পারিনি।
নিজের কায়িকশ্রমের মাধ্যমে আমার জাগ্রত বিবেককে কাজে রুপান্তর করে দীর্ঘ দুই মাস ব্যাপী এভাবে খাবার বিতরণ করে চলেছি একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে।
আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ নেত্রী মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, যতদিন দেশে করোনা ভাইরাসের কারনে এই ভয়াবহতা থাকবে ততদিন যেন আমি এই ভাবে অভুক্ত মানুষের মাঝে একবেলা খবার তুলে দিতে পারি সরকারি ভাবে যেন আমাকে সাহায্য সহযোগিতা করা হয় এমনটাই কামনা করছি।