করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবা চট্টগ্রাম নগর পুলিশ (সিএমপি), সমুদ্র নিরাপত্তায় নিয়োজিত কোস্টগার্ড, র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যদের পর এবার শিকার হলেন সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শরীফুল আলম। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের যে কোন স্তরে এটিই প্রথম করোনা সংক্রমণের ঘটনা।
সন্দ্বীপ থানার ওসির শরীরে করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস,এম রশিদুল হক।সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শরীফুল আলমের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আমরা তাকে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করছি। পাশাপাশি তার সংস্পর্শে যারা ছিল স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী তাদের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।
শনিবার (১৬ মে) চট্টগ্রামের তিনটি ল্যাবে ৫০৪ জনের নমূনা পরীক্ষা করে ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসক, সাংবাদিক, আইনজীবী, পুলিশসহ ৭৯ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে মহানগরীর ৫৪ জন এবং উপজেলার ২৫ জন। এর মধ্যে ৪ জনের দ্বিতীয়বার নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ আসলো।
সন্দ্বীপ থানার ওসি শেখ শরীফুল ইসলামের শরীরে করোনা কীভাবে এলো জানতে চাইলে থানার এক উপ-পরিদর্শক বলেন, ইতিপূর্বে সন্দ্বীপে করোনা আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউনে ওসি স্যার উপস্থিত ছিলেন। আক্রান্ত এলাকায় যাতায়াতের কারণে স্যার আক্রান্ত হতে পারেন বলে আমাদের ধারনা।
প্রসঙ্গত,একই দিন সিএমপির ছয় সদস্যসহ তাদের পরিবারের আরো দুই সদস্যের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।এই নিয়ে সিএমপিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ ছড়ালো। করোনায় নাঈমুল ইসলাম নামের সিএমপিতে কর্মরত এক পুলিশ সদস্য মারা গিয়েছেন শুক্রবার।