মোঃ রবিউল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা থেকে
চুয়াডাঙ্গা, মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পুলিশ একের পর এক জনবান্ধব পুলিশিং-এ নজির স্থাপন করে চলেছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলায় বসবাসরত ৩১ বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ পরিবারকে “ঈদ উপহার সামগ্রী” প্রদান পূর্বক এক ভিন্ন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার মানবতার ফেরিওয়ালা সুযোগ্য পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাত্রে যখন রক্ত পিপাষু পাক হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙ্গালীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঠিক সেই রাতে বাঙ্গালী জাতির মুক্তির দিশারী রুপে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স থেকে মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যগণ। ফলে পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাগণ শুধু বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানই নয়, তাঁরা বাংলাদেশ পুলিশের গৌরোজ্জ্বল সদস্য। এই বিষয়টি মনে প্রাণে ধারণ ও লালন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলার বর্তমান সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম। যার প্রেক্ষিতে তিনি করোনা ভাইরাস উপেক্ষা করে “ঈদ-উল-ফিতর ২০২০” উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের বীর সদস্য ও তার পরিবারবর্গকে সম্মানিত করার বিষয়টি উপলব্ধি করেন। ফলে ১৮-ই মে ২০২০ রোজ সোমবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় বসবাসরত ৩১ বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ পরিবারকে “ঈদ উপহার সামগ্রী” হিসেবে শাড়ী/থ্রি-পিচ/পাঞ্জাবী-পায়জামা/বেবি শেট (পরিবারের সদস্যানুযায়ী), পোলাও চাল ০২ কেজি, তেল ০১ লিটার, ডাল ০১ কেজি, ০২ প্যাকেট লাচ্ছা সেমাই, ০২ প্যাকেট কুলসুন সেমাই, চিনি ০১ কেজি, নারিকেল ০২টি, মিল্ক পাউডার ৫০০ গ্রাম, ডালডা ২৫০ গ্রাম, গরম মশলা, কিচমিচ, বাদাম (পরিমান মত) প্রদান করেন। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা বলেন, “আমি উপলব্ধি করি বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যগণ অনেক সম্মানিত ব্যক্তি, সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মান দেওয়া উচিৎ। ফলে আমার আত্মউপলব্ধি থেকে সাধ্যমত তাঁদেরকে সম্মানিত করার চেষ্টা করেছি মাত্র। এটি আমার ভাল লাগা ক্ষুদ্র প্রয়াস।