কভিড -১৯ “এ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যাক্তিরা বলে দাবি করে ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে করোনা প্রতিরোধ সম্মন্ধে প্রাথমিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ধারনা থাকাটা জরুরী বলে দাবি করেছেন, সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক নব সূচনা; নির্বাহী পরিচালক, কল্যাণে নিয়োজিত কাজ (কনিকা); দিগন্ত মেমোরিয়াল ক্যান্সার ফাউন্ডেশন’এর পরিচালক, পরিচালনা পর্ষদ, ফরিদা ইয়াসমিন কণা (ক্যান্সার সার্ভাইভর) একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। তার ওই ফেসবুকের পোস্টটি এখানে তুলে ধরা হলো।
আন্তরিক শুভেচছা জানবেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের পরে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ করোনার সংক্রমনে মহাসংকটে রয়েছে।
করোণাকালে ক্যান্সার সার্ভাইভর।
—————————
কভিড ১৯’এর জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যাক্তি। সাধারণতঃ কভিড ১৯ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি কমে যায়। দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ক্যান্সার এবং ক্যান্সার চিকিৎসার ফলে। ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর মধ্যে অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ – রক্তরোগ (ব্লাড) ক্যান্সার; ক্যামোথেরাপি চলছে এমন রোগী; স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে রক্তে শ্বেতকনিকার সংখ্যা কমে আসা রোগী এবং যাদের পুষ্টির অভাব রয়েছে। ক্যান্সার রোগীদের করোণা ভাইরাস এবং এর প্রতিরোধ সম্মন্ধে প্রাথমিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ধারনা থাকাটা জরুরী। কোনো ক্যান্সার রোগীর করোণা উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে করোণা পরীক্ষা, চিকিৎসা গ্রহন করা এবং আইসোলেশনে থাকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। করোণা ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে প্রতিরোধের সাধারণ নিয়মগুলো যেমনঃ মূখে মাস্ক ব্যবহার; গৃহবন্দী থাকা; ঘন ঘন সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধোয়া; নাকে, চোখে ও মূখে হাত না দেয়া; করমর্দন ও কোলাকুলি থেকে বিরত থাকা ও কমপক্ষে ৬ মিটার সামাজিক র্দরত্ব বজায় রাখতে হবে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম বা ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে; প্রত্যহ শরীর চর্চা করতে হবে; খোলা বাতাসে হাটতে হবে; ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে; য়থেষ্ঠ পরিমাণ পানি পান করতে হবে; তামাক ও জর্দাসহ পান কোনো ভাবেই গ্রহন করা যাবে না। ক্যান্সার রোগীকে মানসিক চাপএড়িয়ে চলতে হবে। মানসিক চাপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। রক্তচাপ, রক্তের সুপার এবং কিডনীর কার্যকারীতা ঠিকঠাকমত রাখতে প্রয়োজনীয় ঔষধ গ্রহন করতে হবে স্বাচ্ছন্দপূর্ণ স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে হবে।
ফরিদা ইয়াসমিন কণা (ক্যান্সার সার্ভাইভর)
সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক নব সূচনা।
নির্বাহী পরিচালক, কল্যাণে নিয়োজিত কাজ (কনিকা)।
পরিচালক (পরিচালনা পর্ষদ), দিগন্ত মেমোরিয়াল ক্যান্সার ফাউন্ডেশন।