ব্যুরো প্রধান, চট্টগ্রামঃ সারাবিশ্ব যখন করোনা আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে আছে ঠিক সেই সময় একদল দুষ্কৃতিকারীরা মেতে উঠেছে সরকারি গাছ আত্বস্বাদের কাজে।আর এই ঘটনা ঘটেছে গত ১১ই মে দিবাগত রাতে। সন্দ্বীপ সেনের হাট থেকে নাজির হাট পর্যন্ত এই রাস্তার মাঝামাঝি চাইলার কালভার্টের পাশের ১৭টা আকাশি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী টের পেয়ে জাতীয় দৈনিক দিন প্রতিদিন পত্রিকার ব্যুরো প্রধান ও জনপ্রিয় আইপি টেলিভিশন দ্বীপ টিভির নিউজ ইনচার্জ(বাংলাদেশ)রিয়াদুল মামুন সোহাগ কে ফোন দিয়ে জানান।তখন রাত ১২.৩০মিনিটে রিয়াদুল মামুন সোহাগ বিষয় টা সন্দ্বীপ থানার অফিসার্স ইনচার্জ শেখ শরীফুল আলম কে অভিহিত করেন। ওসি সাথে সাথে এস,আই নুরুজ্জামান সহ ৪জন পুলিশ পাঠান।পুলিশ, সাংবাদিক ও জনগণের উপস্থিতি টের পেয়ে দুষ্কৃতিকারীরা গাছ রেখে পালিয়ে যায়।
সেই সময় জাতীয় দৈনিক দিন প্রতিদিন পত্রিকার ব্যুরো প্রধান ও জনপ্রিয় আইপি টেলিভিশন দ্বীপ টিভির নিউজ ইনচার্জ রিয়াদুল মামুন সোহাগ ভিডিও ধারণ সহ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেন।যার ঘরের উপর গাছ পড়েছে সেই ঘরের লোকজন যাদের গাছ কাটতে দেখেছেন তাদের নাম বলেন।এমনকি তাদের জিজ্ঞেস করেন কেন তারা সরকারি গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এর উত্তরে দুষ্কৃতকারীরা বলেন আমাদের দরকার তাই কেটে নিয়ে যাচ্ছি।
সাক্ষীর সাক্ষ্য অনুযায়ী গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছিল পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ডের(১) মোহাম্মদ আবদুল শুক্কুর, পিতা-মৃত রুহুল আমিন,নোয়া টেলি বাড়ি (২)মোহাম্মদ জুয়েল, পিতা-জসিম উদ্দিন, সেকান্তর মাঝির বাড়ি।সবাই পৌরসভা ৬ ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
এরপর ১২ই মে সকালে গাছ উদ্ধারে এসে আশেপাশের অনেক পুকুরে গাছ পেয়ে যায়।টমটম গাড়ির ড্রাইভারকে আটক করলে তিনি আরো তথ্য দেন।মোহাম্মদ মুনসুর আলীর তথ্যমতে গাছ উদ্ধারে গিয়ে আরো ১২পিছ গাছ পাওয়া যায় ছ-মিলে।মিল মালিকের জবানবন্দি অনুযায়ী গাছ সাখাওয়াত নামের এক ব্যবসায়ীর।সাখাওয়াত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। কিন্তু টমটম ড্রাইভার ও জুয়েলের ভাষ্যমতে তারা সাখাওয়াত নামের লোকটার গাছ বলে জানান।এমনকি ছ-মিল মালিক পর্যন্ত জানান এই গাছ সাখাওয়াতের।
গতকাল সাক্ষী জাতীয় দিন প্রতিদিন কে জানান যারা গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছিলো তারা প্রতিদিনিই তাকে হুমকি দিয়ে আসছে।বাড়ি ছাড়া করবে, মেরে ফেলবে, বিভিন্ন রকমের হুমকি দিচ্ছে তারা আমাকে।এমতাবস্থায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি আমার নিরাপত্তা চাই।
অপরদিকে বন বিভাগের নিজাম উদ্দিন কে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি জানান আমরা কাগজপত্র থানায় হস্তান্তর করছি।আমরা আমাদের কাজ শেষ করছি বাকীটা থানার বিষয়।থানায় মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কিছুই বলতে পারতেছি না বলেন।
এদিকে গতকাল সন্দ্বীপ থানার অফিসার্স ইনচার্জ শেখ শরীফুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানা মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। আরো সময় লাগতে পারে।
সাধারণ জনগণের প্রশ্ন দীর্ঘ দিন পেরিয়ে গেলেও কেন থানায় মামলা নেওয়া হচ্ছে না।কার ইশারায় মামলা নিচ্ছে না সন্দ্বীপ থানা।সন্দ্বীপের জনগণের মনে এই প্রশ্নটা গুরুপাক খাচ্ছে এখন।
আর রিয়াদুল মামুন সোহাগের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে সরকারি লোকদের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত কোন সাড়া পাচ্ছি না।কেনই বা এমন হচ্ছে সেটাও বুঝতে পারছি না তবে আমি আমার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দরকার প্রয়োজনে আমি আরো উপরে যেতে রাজি আছি।তবুও আমি যারা সরকারি সম্পত্তি এইভাবে রাতের অন্ধকারে কেটে নিয়ে গেছে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাবো।