শাহিন হাওলাদার,বরিশাল প্রতিনিধি:
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও বাকেরগঞ্জ জমে উঠেছিল ঈদবাজার। এটি বন্ধ করতে মঙ্গলবার (১৯ মে) সকাল থেকে কঠোর অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে বাকেরগঞ্জ সব মার্কেট। ফুটপাত থেকেও সব ধরনের ব্যবসায়ীদের উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কড়াকড়ি করা হচ্ছে রিকশা-অটোরিকশা চলাচলে।
এতে স্বস্তি ফিরেছে সচেতনমহলে। তারা বলছেন, গত কয়েকদিন মার্কেট-দোকানপাট খোলার কারণে শহরে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে গিয়েছিল। কেননা তখন মার্কেটে সামাজিক দূরত্বের কিছুই মানা হচ্ছিল না। গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে ঈদের কেনাকটায় মেতেছিলেন অনেকে। এখন প্রশাসনের তৎপরতাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সচেতন নাগরিকরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনের এমন ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন তারা।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে আগেই সারাদেশের মার্কেট-দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু গত ১০ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত আসে। সেদিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে দোকানপাট খুলেছে। তবে বাকেরগঞ্জ নিরাপদ রাখতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দফায় দফায় সভা করে পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া ও বাকেরগঞ্জ ছয় আসনের সংসদ সদস্য নাসরিন জাহান রত্না বাকেরগঞ্জ সকল মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানান। কিন্তু বাকেরগঞ্জ ন মার্কেটগুলো নানা কৌশলে খোলা হচ্ছিল।
সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ব্যবসা করছিলেন দোকানীরা। সদরে এ মার্কেটের প্রধান ফটক বন্ধ রেখে ভেতরে দোকান খুলছিলেন ব্যবসায়ীরা। গলিপথ দিয়ে মার্কেটেও যাচ্ছিলেন প্রচুর ক্রেতা। আবার এলাকায় দোকানের সাটার তুলে ক্রেতা ঢোকানোর পর সাটার নামিয়ে দেয়া হচ্ছিল। কেনাকাটা শেষ হলে সাটার তুলে বের করে দেয়া হচ্ছিল ক্রেতাকে। রাস্তায়ও বের হচ্ছিল অজস্র মানুষ। রিকশা-অটোরিকশার যানজট দেখা দিয়েছিল শহরে। কোথাও সামাজিক দূরত্বের কিছুই মানা হচ্ছিল না।
এ অবস্থায় সোমবার বিকালে জেলা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় মুদী দোকান ,ওষুধের ও কাঁচাবাজার ছাড়া বাকেরগঞ্জ সব দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর মঙ্গলবার সকাল থেকেই মাঠে নামেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরাও মাঠে নামেন। তারা সব এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ করে দেন। ফুটপাত থেকে হকারদের তুলে দেয়া হয়।