শাহিন হাওলাদার,বরিশাল জেলা প্রতিনিধি:
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের থানেশ্বরকাঠী গ্রামের সুমল বৈদ্য’র মেয়ে মুক্তি রানী বৈদ্য (১৯) মাস দশেক আগে ভালোবেসে পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে করেন একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী রত্নপুর গ্রামের খোকন সমদ্দারের ছেলে মিথুন সমাদ্দারকে।
পরবর্তীতে মেয়ের বাবা সামাজিকভাবে ছেলের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মেয়েকে ছেলের হাতে তুলে দেন এবং বিয়ের পর থেকেই মুক্তি রানী শ্বশুরবাড়ি অবস্থান করে আসছিলেন। মেয়ের বাবা সামাজিক ও আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়ার কারনে ছেলের বাবা মুক্তি বৈদ্যকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে পারেননি এবং প্রায়শই মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন।
এমনকি যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতন করতেও দ্বিধা করেনি ছেলে ও তার পরিবার। ছেলের পরিবার মেয়ের বাবার কাছে তিনলক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। মেয়ের দিনমজুর বাবা তার আর্থিক সীমাবন্ধতার কথা জানিয়ে এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এতে করে যৌতুকলোভী ছেলে ও তার পরিবার কর্তৃক মুক্তির উপর শারীরিক নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। ধারাবাহিক নির্যাতনের একপর্যায়ে গত সোমবার (২৫ মে) দিবাগত রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে মুক্তি রানী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং লাশের ময়নাতদন্ত করার জন্য এস আই শাজাহান ও এস আই আব্বাস রাত দুইটার দিকে মুক্তি বৈদ্যর মৃতদেহ আগৈলঝাড়া থানায় নিয়ে আসে।